
মাহমুদুল হাসান:টাঙ্গাইল প্রতিনিধি;
সোমবার (৩ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলার বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে মির্জাপুর উপজেলা সদর ও গোড়াই এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে রংধনু, বিকাশ ও আলমদিনা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়গস্টিক সেন্টারের মালিকদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করােন।
মির্জাপুর উপজেলায় ৭৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুমুদিনী হাসপাতাল থাকার পরও মির্জাপুর উপজেলা সদর, পাকুল্যা, জামুর্কী, গোড়াই, দেওহাটা, বাঁশতৈলসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি ও স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ৩১টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার গড়ে ওঠেছে। অধিকাংশ ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেণ্টারের লাইসেন্স নেই।এ সবে নেই কোন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক, প্রশিক্ষিত নার্স। যেসব ক্লিনিকের লাইসেন্স রয়েছে তারা নিয়মিত নবায়নও করছেন না।অধিকাংশ ক্লিনিকে নেই রোগী সেবার পরিবেশ নেই বললেই চলে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক(মির্জাপুর উপজেলা)মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে উপজেলা সদরের আল মদিনা ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন না করা, অপরিচ্ছন্ন প্যাথলজি রাখা ও প্রশিক্ষণবিহীন নার্স রাখার অপরাধে ২০ হাজার টাকা, বিকাশ হাসপাতালে অনুমোদনের অতিরিক্ত বেড রাখার অভিযোগে ১০ হাজার টাকা এবং গোড়াই হাটুভাঙ্গা রোডের রংধনু ক্লিনিক এবং ডায়গনস্টিক সেন্টারকে থাকা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, প্রশিক্ষিত নার্স না থাকা এবং লাইসেন্স নবায়ন না করার অপরাধে।
মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহরিয়ার সাজ্জাত উপস্থিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
সহকারী কমিশনার(মির্জাপুর উপজেলা) ভূমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আজগর হোসেন জানান, ক্লিনিক মালিকদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের বিষয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।