
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সাব-কন্ট্রাক্টর মো. শের আলী হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। বুধবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা. ফরিদা ইয়া
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের মো. মালেক হাবিলদারের ছেলে মো. সুজন মিয়া (৪০), আবুল কাশেমের ছেলে মো. মামুন (১৮) এবং একই জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন মনিপুর দক্ষিণপাড়ার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন (৩০)।
মামলার বিবরণে জানা যায়- ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিসের আওতাধীন একটি আমবাগান লিজ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন মো. শের আলী ও সুজন মিয়া। আম বিক্রির পাঁচ লাখ টাকা ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলছিল তাদের। ২০১৫ সালের ২৩ জুন মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামে ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে গামছা দিয়ে মুখ এবং কারেন্টের তার দিয়ে দুহাত-পা ও বেঁধে অচেতন অবস্থায় ফেলে রাখে।
তাকে উদ্ধার করে ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শের আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন মনিপুর শেখ বাড়ির মৃত হাছন আলীর ছেলে নিহতের প্রতিবন্ধী ভাই মো. বাবুল মিয়া (৪৫) বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় সুজন মিয়া, জাকির হোসেন ও বুড়িচং উপজেলার ঘোষনগর গ্রামের কন্ট্রাক্টর মো. হামযাকে আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বুড়িচং থানার এসআই মো. ইমাম হোসেন ঘটনা তদন্তপূর্বক ২০১৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সুজন মিয়া, জাকির হোসেন ও মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
চার্জগঠন শেষে রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদয়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মো. রফিকুল ইসলাম। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. জামান আহমেদ নয়নসহ কয়েকজন।