মোঃ জসীম উদ্দীন,বেনাপোল প্রতিনিধি ।
হাসপাতালের বিছানায় সড়ক দুর্ঘাটনায় মারাত্মকভাবে আহত মেয়ের পাশে বসে কাঁদছিলেন বাকরুদ্ধ মা-বাব।এরই মাঝে বেজে উঠলো বাবা রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনের রিংটোন।কলটি রিসিভ করার পর আশে পাশের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আাগেই হাউ মাউ করে কেঁদে উঠলেন তিনি। স্বামীর কান্নায় চুপ থাকতে পারলেন না মেয়েটিন মা মুসলিমা বেগমও।নতুন কোন দুঃসংবাদে না। এ কান্না আনন্দের।রবিবার প্রকাশিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সড়ক দুর্ঘাটনায় পা হারানো ছাত্রী নিপা ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়ায় মা-বাবার এই কান্না।রোজকার মতো শার্শার বরুজবাগান
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী মেফতাহুল জান্নাত নিপা স্কুল ভ্যানে করে স্কুলে যাওয়ার পথে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি পিকআপ পিছন থেকে স্কুল ভ্যানে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনায় নিপা সহ ৩ ছাত্রী আহত হয়।মারাত্মকভাবে আহত নিপাকে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা অস্ত্রপাচার করে তার ডান পা কেটে ফেলে। বর্তমানে নিপা হাসপাতালে চিকিৎিসাধীন রয়েছে। উল্লেখ্য গত ২০ শে মার্চ সকালে নাভারন বাজারে সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়।