মনুষ্যত্বকে পূর্ণতা দিতে হলে একটা জাতিকে স্বাধীন হতে হবে। বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষকে প্রতিনিয়ত এই সংগ্রামে অবতীর্ন হতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালী জাতি সেই সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে। দারিদ্র্য ক্লিষ্ঠ, দুঃখ জর্জড়িত, নিপীড়িত, নির্যাতিত বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষে বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক দর্শনকে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে গড়ে তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শনের পরিপূর্ণতা এসেছিল ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণে। সেই ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
গত ১৮ই মার্চ, ২০১৯ সোমবার চট্টগ্রাম শহরস্থ ফুলকির এ.কে.খান স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ বৃহত্তর চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত “বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন” বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. অনুপম সেন উক্ত কথাগুলো বলেন। সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়ার
সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনারে বিশেষ অতিথি (আলোচক) হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আলম। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের প্রাক্তন ডীন প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ উত্তর জেলার সহ-সভাপতি ওসমান গণি চৌধুরী। সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়া। প্রবন্ধকার তার প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধুর শৈশব-কিশোরের জন্য, মানুষের আর্থিক অস্বচ্ছলতা বিশেষ করে কৃষক সমাজের সামাজিক অবস্থা দেখে বঙ্গবন্ধু হৃদয়ে
তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির চিন্তায় উদ্বুদ্ধ হওয়া, ছাত্র রাজনীতি, শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহ সর্বভারতীয় নেতাদের প্রভাবে প্রভাবান্বিত হওয়া, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখার মধ্যে দিয়ে স্বকীয় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রাজনৈতিক দর্শনে কিভাবে বঙ্গবন্ধু নিজেকে মহিমান্বিত করে তুলেছিলেন তা তিনি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলে উপস্থিত সকলের প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর অসীম
সাহসিকতা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রেরণা যুগিয়েছিল এবং এর ভিত্তি ছিল বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এন.এ সিদ্দিকী, ভাস্কর ড.ডি কে দাশ মামুন, অধ্যাপক সবুজ কুমার দে, অধ্যক্ষ দীপক তালুকদার, অধ্যাপক শিশির বড়–য়া, হিউম্যান রাইর্ট কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ রফিক সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্তরের সুধীগন উপস্থিত ছিলেন।