চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সাবেক সদস্য, ৯০ এর স্বৈরবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা,ত্যাগী রাজনীতিবদ প্রয়াত গিয়াস উদ্দীন হিরুর নাগরিক শোক সভা উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, নাগরিক শোক সভার সমন্বয়ক এম.আর আজিমের সভাপতিত্বে গত ২৮ মার্চ
সন্ধা ৬টায় নগরীর সুপ্রভাত স্টুডিও হল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। শোকসভার সমন্বয়ক এম,নুরুল হুদা চৌধুরী ও আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মহানগর আওয়ামীলীগনেতা জামশেদুল
আলম চৌধুরী, কাউন্সিলর ও সিডিএ বোর্ড মেম্বার হাসান মুরাদ বিপ্লব, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অহিদ সিরাজ স্বপন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কালাম চৌধুরী, শিক্ষাবিদ শামসুদ্দীন শিশির, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দীন, সাবেকমন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের পরিচালক শরফুদ্দীন চৌধুরী রাজু, কোতোয়ালী থানা
আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান, ফুলকলির জেনারেল ম্যানেজার এম,এ,সবুর, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতা স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুর রহিম, সংগঠক জসিম উদ্দীন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগনেতা আসহাব রসুল জাহেদ, শাখাওয়াত স্বপন, মুক্তিযোদ্ধা এম,এ,সালাম,প্রদীপ বড়ুয়া বাপ্পী, চট্টগ্রাম
সাহিত্য পাঠচক্রের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ, সাবেক ছাত্রনেতা চন্দন পালিত, সংগঠক স.ম.জিয়াউর রহমান, কবি সজল দাশ, মুক্তিযোদ্ধা এস.এম.লিয়াকত হোসেন, সংগঠক আসিফ ইকবাল। এতে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এস,এম,লিয়াকত হোসেন, সাংবাদিক আমিনুল হক শাহীন, শিক্ষক বিজয় শংকর চৌধুরী,সংগঠক মোঃ
লিপটন,নারীনেত্রী সৈয়দা শাহানা আরা বেগম,সমিরণ পাল,নাছির উদ্দীন কুতুবী, মোঃ দেলোয়ার হোসাইন, ছাত্রনেতা কামরুল হুদা পাভেল, নাসরিন তমা, অন্দিদ্য দেব, আশিকুর রহমান, এস. কে. সাগর, মোঃ সুফিয়ান সিদ্দিকী নিলয়, মোঃ রিয়াদ, মোঃ ইসহাক, কাজী তারেক আহমদ, ধর্মপুর ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহিম, মোঃ সাইফুল করিম, মামুনুর
রহমান চৌধুরী, ইয়াছিন ফরহাদ, সাইয়ীম হাসান, আবু মোরশেদ, সাইম, আরিফ আহমদ,মোঃ সাঈপ রহিম, আল আমিন, মোঃ আলাউদ্দীন,হাসান মোঃ আইয়ুব, মোঃ ইয়াসিন,সামাহ প্রমুখ। সভায় বক্তারা সততা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ, ৯০ এর স্বৈরবিরোধী আন্দোলনের সাহসী ছাত্রনেতা গিয়াস উদ্দীন হিরু নীতি ও আদর্শ বিসর্জন
না দিয়ে আজীবন সততা, দলীয় আদর্শ বুকে ধারণ করেও রাজনীতি করে মানুষের কল্যাণ করা যায় তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গিয়াস উদ্দীন হিরু। সততাকে পুঁজি করে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজনীতি করা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন গিয়াস উদ্দীন হিরু। লাভ, মোহ, বৃত্ত, বৈরভ ও চিত্রকে বিসর্জন দিয়ে রাজনীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ও সাহসী ব্যক্তিত্ব ছিলেন
গিয়াস উদ্দীন হিরু। নানা রাজনৈতিক সংকট ও দুঃসময়ে গিয়াস উদ্দীন হিরুর সাহসী ভুমিকা আজীবন আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সভায় বক্তারা আরো বলেন ৯০ এর স্বৈরবিরোধী আন্দোলনের সাহসী ভুমিকা পালন করে গিয়াস উদ্দীন হিরুকে একজন সত্যিকারের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিলেন। নিজের জীবনের সমস্ত চাওয়া পাওয়া
আর আকাঙ্খাকে বাদ দিয়ে গিয়াস উদ্দীন আজীবন রাজপথে থেকে দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে জনমানুষের কল্যাণে ভুমিকা রেখেছেন। সততা আর আদর্শের রাজনীতিই ছিল গিয়াস উদ্দীন হিরুর মুল শক্তি। কোন রকম, লোভ লালসা আর
আপোষের রাজনীতিতে কখনো নিজেকে বিসর্জন দেয়নি। আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে নিজেকে সর্বদা ত্যাগ স্বীকার করেছেন। নতুন প্রজন্মের ছাত্ররাজনীতির জন্য গিয়াস উদ্দীন হিরু একটি অনুপ্রেরণার নাম হিসেবে চিরসমুজ্জ্বল থাকবে।