
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর চট্টগ্রাম আ লিক শাখা ও চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার যৌথ উদ্যোগে নুসরাত জাহান রাফিকে নৃশংস ভাবে যৌন নিপীড়ন ও হত্যার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন পূর্বক প্রতিবাদ সমাবেশ চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ’র নির্বাহী সভাপতি শফিউল আলম রানার সভাপতিত্বে অদ্য ১২ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু। সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান উল্লাহ বাহার এর স ালনায় এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন
আসাদুজ্জামান খান, শাহাদাত ইবনে মাজেজ, ইঞ্জিনিয়ার নুরুজ্জামান, মাসুদ পারভেজ, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইমরান, ইমদাদ চৌধুরী, হাজী চান্দু মিয়া, ডাঃ দিপক বড়ুয়া, সুদর্শন মন্টি, আবদুল হালিম, মাকসুদুর রহমান, ইসমাঈল হোসেন শিমুল, বখতেয়ার উদ্দিন, ইমতিয়াজ হোসেন, ডেল্টা লার্নিং সেন্টারের সিইও মো: আলমগীর, তরুণ উদ্যোক্তা মো: জাহাঙ্গীর, নারীবাদী সংগঠন মাতৃকা’র সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস লাকি, প্রচার সম্পাদক সুমাইয়া জেনি, স্বস্তি’র সভাপতি কাউছার জাহান, সত্যজিৎ বড়ুয়া, এনাম হোসেন হীরু, কামরুল ইসলাম মানিক।
মানববন্ধনে আমিনুল হক বাবু বলেন, সবার অন্তর জয় করে আমাদের কাঁদিয়ে চলে গেল মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফী। সে বেঁচে থাকবে প্রতিবাদের অনির্বাণ হয়ে। সে শিখায় জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হবে কথিত আলেম নামে জালেমরা। নুসরাত পেল শাহাদাতের মর্যাদা। পক্ষান্তরে সিরাজ দৌলার মতো পাষ- লম্পট পাপিষ্ঠ কাঠমোল্লারা হবে দোজখের অগ্নিকু-ের কাঠ। দুনিয়া-আখেরাত
দুদিকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হবে। নুসরাত চিরঞ্জীব। প্রতিবাদের প্রতীক। চেতনার মশাল। অপরাধী সিরাজ উদ দৌলা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। সে সিরিয়াল যৌন নির্যাতনকারী, এর আগেও তার বিরুদ্ধে এক ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন, কিন্ত তখন তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিলে আজ নুসরাতকে মরতে হতো না। তাই শুধু সিরাজ নই, সিরাজকে আশ্রয় প্রশ্রয়দানকারী এবং তার পক্ষে মানববন্ধন এর মদদদাতাসহ সকলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে।