মাহমুদুল হাসান:টাঙ্গাইল প্রতিনিধি;
ছোট বেলা থেকেই সহজ সরল খুব ভাল মানুষ হিসাবে গ্রামে পরিচিত অতুল সূত্রধর।পরিবারের অভাবের কারণে খুব একটা লেখাপড়া করতে পারেননি, স্কুল জীবনে মেধাবী এই মানুষটি নবম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তারপর পরিবারের হাল ধরতে তাকে বেছে নিতে হয় কাঠমিস্ত্রী কাজ। তার পরিবারে ৩ বোন ২ ভাই ছিলেন। ভাইয়ের মধ্যে ওনিই বড়। এভাবে কয়েক বছর কেটে যায়। এর মাঝে তার বাবা মারা যায়, এর ২ বছর পরই তার ছোট ভাইও মারা যায়। কিন্তু তিনি থেমে জাননি, জীবন যুদ্ধে বুকের মাঝে অনেক কষ্ট নিয়ে মানুষের ভালবাসায় আস্তে আস্তে ঘুরে
দাড়িয়েছেন। ভালই চলছিল তার মধ্যবিত্ত সংসার। শ্রমিকদের ভালবাসায় ধলাপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করে। এক সময় শ্রমিকরা তাকে সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক বানায়। প্রায় অনেক বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন শ্রমিক সংগঠনে। এর মাঝে ধার দেনা করে তার ছেলেকে বিদেশ পাঠায়। ছেলে বিদেশ গিয়ে ১ মাসের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসে। এর ফলে অনেক টাকা ঋন হয়ে যায়, বিপদগ্রস্ত হয় পরিবার। তার ছেলে ফিরে আসার কয়েক মাসের মধ্যে তার হার্ট ষ্ট্রোক করে। প্রায় ৬ মাস পর তিনি মোটামুটি সুস্থ হন। কিন্তু মানুষের
কাছ থেকে টাকা সুদে ধার নেওয়ার ফলে গ্রাম ছেড়ে পরিবার সহ গাজীপুরে চলে যেতে হয়। প্রায় ৩ বছর থাকার পর তার আবার ব্রেইন ষ্ট্রোক করে। ফলে তার বাম পাশের অংশ, হাত এবং পা অচল হয়ে যায়। এর কিছুদিন পর তার স্ত্রীর ২ টা কিডনি নষ্ট ধরা পরে। এখন অসুস্থ অবস্থায় ২ জনই বিছানায় পরে আছে। তার ছেলে কোচিং এবং প্রাইভেট পড়িয়ে কোন রকম সংসার চালায়। বাবা মার চিকিৎসা কিভাবে করাবে, অসহায় হয়ে আমাদের কাছে আবেদন করেছে চিকিৎসা সহযোগিতা করার জন্য। আমরা কি পারিনা জীবন যুদ্ধে হার না মানা এই মানুষটার জন্য ও তার
পরিবারের জন্য কিছু করতে? আমরা কি পারিনা তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে। মানুষ মানুষের জন্যে আসুন এই কথাটি আরেকবার প্রমান করি। ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে, যার যতটুকু সামর্থ্য আসুন তাই নিয়ে এই অসহায় পরিবারের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।এমতাবস্থায়.
আপনার আর্থিক সহায়তাও পরামর্শ একান্ত কাম্য।01792-650756 বিকাশ নাম্বার।