
নিজস্ব প্রতিবেদক
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান বলেছেন-‘ম্যালেরিয়া নির্মূলে আশাব্যঞ্জক সাফল্য থাকলেও এখনও দেশের প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে বসবাস করছে। তবে দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৩টি জেলায় এর প্রাদুর্ভাব বেশি।’
এদিকে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন- ‘২০০৮ সালে ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫৪ জন, ২০১৮ সালে তা কমে ৭ জনে নেমে এসেছে। এ অর্জন অব্যাহত রাখতে হলে শুধু ম্যালেরিয়া আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসা নয় বরং মশার উৎপাদনস্থলও ধ্বংস করতে হবে।মন্ত্রী আরো বলেন, স্প্রে’র মাধ্যমে মশার উৎপাদনস্থল ধ্বংস করতে পারলে ম্যালেরিয়াবাহী মশার বংশবিস্তার হবে না। এজন্যে ম্যালেরিয়া কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্টেকহোল্ডাদের নিয়ে সমন্বয় কাজ করতে হবে। তাহলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা
অর্জন (এসডিজি) ২০৩০ সালের মধ্যে সম্ভব হবে।বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ও অন্যান্য সহযোগী সংস্থা এই সেমিনারের আয়োজন করে। ‘আমিই করবো ম্যালেরিয়া নির্মূল’ এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে নানা আয়োজনে এ বছর পালিত হলো বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস।সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রত্যেকে সচেতন ও নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে ২০৩০ সালের আগেই ম্যালেরিয়া নির্মূল সম্ভব হবে।
রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক ও কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোলের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা সীমান্তবর্তী এলাকায় ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি এড়াতে আঞ্চলিক টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে বলে জানান। তিনি আরো বলেন-আসলে মশার উৎপাত হয় ময়লা আবর্জনা থেকে,তাই আমরা সকলে নিজ নিজ বসবাসের জায়গাটা যদি অন্তত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি মশা জন্মাবে না বলে আমি মনে করি। সুতরাং আমাদের সকলের স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া নিজ নিজ গুরুদায়িত্ব।