চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে শেরে বাংলা (রহ.) ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাতুনে জান্নাত কনফারেন্স ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মা ফাতেমা ছিলেন অনুপম চরিত্রের অধিকারী– মুহাম্মদ ইসমাইল শাহ্ বর্তমান অবক্ষয়ের যুগে সঠিক পথ পেতে হলে খাতুন জান্নাতের আদর্শ অনুসরণ করুন পীরে ত্বরিকত গোলাম মুহাম্মদ মহিউদ্দিন আজ ৯ মে ২০১৯ইংরেজি বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবস্থ ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে খাজায়ে বাঙ্গাল ইমাম শেরে বাংলা (রহ.) সুন্নী ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নন্দিনী হযরত মা
ফাতেমাতুজ্জাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহা এর ওফাত বার্ষিকী স্মরণে খাতুনে জান্নাত কনফারেন্সে ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইমাম শেরে ইমাম গাজী শেরে বাংলা (রহ.)’র দৌহিত্র হাজী আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন, সংগঠনের মহাসচিব এস. এম নিজাম উদ্দিন। উদ্বোধক ছিলেন, বাংলাদেশ আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলহাজ্ব দিদারুল আলম চৌধুরী। মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামের স ালনায় কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ ইসমাইল শাহ
(বিপ্লব)। মেহমানে আ’লা ছিলেন, কুমিল্লা অলিতলা দরবার শরীফে সাজ্জাদানশীন পীরে তরীকত আল্লামা কাজী গোলাম মুহাম্মদ মহিউদ্দীন লতিফী (ম.জি.আ)। প্রধান বক্তা ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলিয়ার মুহাদ্দিস আল্লামা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জুবাইর রজভী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফুলকলি’র জেনারেল ম্যানেজার এম এ সবুর, দক্ষিণ জেলা ইসলামী ফ্রন্ট সাধারণ সম্পাদক মাস্টার আবুল হোসেন, মদিনা ইসলামী মিশন সভাপতি মাওলানা নিজাম উদ্দিন আশরাফী, রাউজান উত্তর সর্তা গাউছিয়া হাফেজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা
মহিউদ্দিন আহমদ রেজা খান, বাংলাদেশ ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির চেয়ারম্যান এম.এ মালেক নূরী, মাওলানা আব্দুল করিম, মাওলানা শফিকুর রহমান, বেলাল উদ্দিন আশরাফী প্রমুখ। মিলাদ কিয়াম পরিচালনা করেন ইমাম শেরে বাংলা (রহ.) সুন্নী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গোলামে ইমাম শেরে বাংলা মাওলানা মুহাম্মদ মুছা কাদেরী। প্রধান অতিথি মুহাম্মদ ইসমাইল শাহ্ বলেন, মা ফাতেমা ছিলেন অনুপম চরিত্রের অধিকারী। শৈশব থেকেই হযরত ফাতেমা ছিলেন নির্ভীক, তেজস্বিনী ও বক্তা। তিনি উচিত কথা বলতে কাউকে ছাড়তেন না, সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সর্বদা
সত্য ও উচিত কথা বলতেন। তিনি সর্বদা তার পিতা হযরত মুহাম্মদ (স.) এর আদর্শ অনুসরণ করতেন এবং মা বিবি খাজিদা (রা.) এর আদেশ ও উপদেশাবলী মনযোগ দিয়ে শুনতেন এবং বাস্তব জীবনে তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন। আমাদেরও তা অনুসরণ করা উচিত। মেহমানে আলা পীরে ত্বরিকত গোলাম মুহাম্মদ মহিউদ্দিন লতিফী বলেন, বর্তমান অবক্ষয়ের যুগে সঠিক পথ পেতে হলে খাতুন জান্নাতের আদর্শ অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। কেননা, প্রিয় নবী (স.) এর চরিত্রের প্রতিটি গুণই তার জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি ছিলেন সত্যের
পূজারী, আমানতদারী, লাজুক, ন¤্র ও সরলমনা। হযরত ফাতেমা শিশুকাল থেকেই শান্ত সরলমনা ছিলেন, তিনি কখনও কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদ করতেন না বরং অন্য ছেলে মেয়েরা ঝগড়া করলে তার মিমাংসা করে দিতেন। সবার সাথে সুন্দর ব্যবহার করতেন তার সুন্দর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে নবী (স.) এর প্রধান শত্রুরাও তার প্রশংসা করতে ভুলতেন না। প্রধান বক্তা আল্লামা আবুল আসাদ জুবাইর রজভী বলেন, প্রকৃতপক্ষে পিতা মাতার শিক্ষাই হল জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা। হযরত ফাতেমা (রা.) এর আদর্শ শিক্ষা এর জীবন চলার পথ নির্দেশীকা একমাত্র আদর্শ পিতা মাতার নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে পিতা মাতার আদেশ নিষেধ উপদেশ তিনি তার জীবনে শ্রেষ্ঠ আদর্শ রূপে গ্রহণ করেছিলেন।