
ছাতক প্রতিনিধি:
রমজান মাসের পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং এর জন্য জনজীবন যেন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সেহেরী থেকে শুরু করে ইফতারের টাইম পর্যন্ত প্রতি দুই ঘণ্টায় ১০- থেকে ১৫ থেকে বার লোডশেডিং হয়ছাতকে বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে জনজীবন। লোড শেডিংয়ের নামে প্রতি দুই ঘণ্টায় অন্তত ১০ থেকে ১৫ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। সকাল-সন্ধ্যা, নামাজ, ইফতার, সেহরীর মত স্পর্শকাতর সময়ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়।ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ, বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় চলেছে এখানের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। কয়েক লাখ
গ্রাহকের দুর্ভোগের বিষয়টি বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ মোটেই আমলে নিচ্ছেন না। ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার ঘটনায় উপজেলার পল্লী ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের গ্রাহকদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনা। বিদ্যুতের এমন ভেল্কিবাজি একমাস ধরে চলে আসলেও প্রথম রোজা থেকে এর ভয়াবহতা মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পায়। সারাদিন ঘন ঘন বিদ্যৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটলে ইফতারের আগে ও পরে এর তীব্রতা বেড়ে যেতে দেখা গেছে।প্রচণ্ড গরমে এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে শহরবাসী।তাৎক্ষনিকভাবে এর কারণও জানার উপায় থাকে না। প্রায় সময়ই
প্রকৌশলীসহ বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর আবার কখন বিদ্যুৎ আসবে তা জানা সম্ভব হয়ে ওঠে না।ফলে আজ শুক্রবার উপজেলার জাউয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এর আগে গত ৩ এপ্রিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ছাতকের অফিস ঘেরাও করে প্রকৌশলীকে আটকে রাখে পৌরসভার ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, বর্তমানে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গ্রাহক সেবাকে গুরুত্ব না দিয়ে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। ছোট-ছোট মিল-কারখানা,
ওয়াশিং মেশিন ও ক্রাশারমিলে অবৈধ সংযোগ দিয়ে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী অবৈধ পন্থায় অর্থ রোজগারে জড়িয়ে পড়েছেন।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গ্রাহক সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক আব্দুল গফফার জানান, সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ দিচ্ছে কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের দূর্নীতির ফলে আজ জনগণের এই ভোগান্তি। ফলে সরকারেরও ভাবমূর্তি নষ্টের হচ্ছে। তিনি জানান আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এর সমাধান না হলে গ্রাহকদের সাথে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের বিরুদ্ধে সকল গ্রাহকদের নিয়ে অবস্থান নেওয়া
হবে।সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক সুয়েবুর রহমান জানান, গ্রাহকদের প্রতিনিধি হিসাবে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ। বিদ্যুৎ বিভ্রাট রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ঝড়বৃষ্টিতে খুঁটির পাশের গাছ এবং গাছের ডাল লাইনে পড়ে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি হয়। এর থেকে শর্টসার্কিটে প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই সতর্ক অবস্থানে থেকে কাজ করতে হয়। তবে এই বিশাল এলাকায় লোকবল সংকটের কারণে অনেক সময় কাজ সম্পন্ন হতে বিলম্ব হয়।বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ছাতকের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন
জানান, প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে দ্রুত এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য কাজ চলছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও লোডশেডিং পাড়া ভরা ভরে থেকে গেল ৩৫-৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এভাবে লোডশেডিং হতে থাকলে মানুষের কষ্ট আরো দ্বিগুন বেড়ে যায়