নিউজ ডেস্ক
সৌদি আরবের বংশধর আলোচিত আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামলা নিহত হয়েছে সম্প্রতি ওসামা বিন লাদেন ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকান টুইন টাওয়ার ধ্বংসের মূল হোতা বলে জানা গিয়েছিল সেই থেকে ওসামা বিন লাদেনের নাম উঠে আসেন সারা বিশ্বে আমেরিকান সেনা দীর্ঘদিন ধরে ওসামা বিন লাদেনকে খোঁজাখুজি করার পরেও তার সন্ধান মিলেনি কিন্তু বেশ কয়েক বছর পর পাকিস্তানের এক গোপন আস্তানায় আমেরিকান সৈন্যদের হামলায় ওসামা বিন লাদেন নিহত হয়েছে বলে বিশ্বকে জানিয়েছেন ওসামা বিন লাদেনের লাশ
কারো কাছে হস্তান্তর না করে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিয়েছে বলেও দাবি করেছিল আমেরিকান সৈন্যরা আবার বেশ কয়েক বছর পর আল কায়েদার নিহত নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজা বিন লাদেন মারা গেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এমনটি বিশ্বাস করে বলে জানিয়েছেন দেশটির গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।বুধবার পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তাও এমনটি জানিয়েছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।বিবিসিকে জানিয়েছেন, বেনামি সূত্রগুলোর তথ্য নিয়ে করা প্রতিবেদনগুলোতে হামজা কবে, কোথায় নিহত হয়েছেন তা পরিষ্কার হয়নি।
কিভাবে নিহত হয়েছেন তাও জানেনা কেউ এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদনগুলো এনবিসি ও নিউ ইয়র্ক টাইমস করেছে বলে জানিয়েছে তারা।হামজার বয়স প্রায় ৩০ বছর বলে ধারণা করা হয়। প্রকাশিত অডিও ও ভিডিও বার্তায় হামজা যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোতে হামলার ডাক দিয়েছিল।বুধবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে সাংবাদিকরা হামজার বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।”২০১১ সালে পাকিস্তানের সামরিক শহর অ্যাবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানে ওবামা
বিন লাদেন নিহত হন।হামজার মৃত্যুর খবর শিগগিরই ঘোষণা করা হবে কি না, তা নিয়েও কোনো মন্তব্য করেনি হোয়াইট হাউস।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে অভিযানে হামজার মৃত্যু হয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ভূমিকা ছিল। গত দুই বছরের মধ্যে ওই অভিযানটি চালানো হয় বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।প্রতিবেদনটির এসব বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।ব্রুকিংস্ ইনিস্টিটিউশনের তথ্যানুযায়ী, ২০০১ এর ১১
সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলার আগে হামজা আফগানিস্তানে তার বাবার পাশেই ছিলেন। হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে আক্রমণ চালানো হলে বিন লাদেনসহ আল কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে হামজাও পাকিস্তানে চলে যান।পাকিস্তানে ২০১১ সালে মার্কিন স্পেশাল ফোর্সের অভিযানে ওসামা বিন লাদেন নিহত হন। ওই সময় হামজা ইরানে গৃহবন্দি ছিলেন বলে ধারণা করা হয়েছে। ওসামা বিন লাদেন যে বাড়িতে নিহত হন সেখান থেকে পাওয়া নথিপত্র থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, ওসামা বিন লাদেনের সহযোগিরা তার ছেলেকে তার বাবার কাছে
নিয়ে আসার চেষ্টায় ছিল।অন্যান্য প্রতিবেদনে তার আফগানিস্তানে, পাকিস্তানে ও সিরিয়ায় অবস্থানের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।কিন্তু আসলে হামজা কোন দেশে ছিল তা পুরোপুরি কেউ নিশ্চিত ছিল না তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য জঙ্গিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন হামজা। বিদ্রোহ করার জন্য আরব উপদ্বীপের বাসিন্দাদেরও ডাক দিয়েছিলেন তিনি। চলতি বছর মার্চে সৌদি আরব তার নাগরিকত্ব বাতিল করে।তাকে আল কায়েদার অন্যতম প্রধান নেতা অভিহিত করে ফেব্রুয়ারিতে তাকে ‘শনাক্ত করা অথবা যে কোনো দেশে তার অবস্থান’
বিষয়ে তথ্য দিতে পারলে ১০ লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সৌদি আরবের নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার পর হামজা কোন দেশে নিহত হয়েছেন তাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার করে কোনো গণমাধ্যমকে বলেনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী হামজা কে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লক্ষ ডলার ঘোষণা করা হয়েছিল