
নিউজ ডেস্ক
কাপ্তাই নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং নৌবাহিনী স্কাউট দলের অংশ গ্রহণ ডেঙ্গু মশা নিধন ও ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণ এর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান হিসেবে কাপ্তাই নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের অভিযান সম্পূর্ণ হয় ০৫ আগস্ট ২০১৯ (সোমবার) বিকাল ৫ টা হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ‘ডেঙ্গু মশা ও ডেঙ্গু জ্বর’ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাপ্তাই নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীগন এবং নৌবাহিনী স্কাউট দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও উৎসাহ উদ্দীপনায় কাপ্তাই নতুন বাজার এবং লিচুবাগান এলাকায় প্রচার ও পরিস্কার
পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও কাপ্তাই জেলা নৌ স্কাউট সচিব নৌবাহিনী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম নূরে আলম ছিদ্দিকীসহ উক্ত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও নৌ সদস্যগন অংশগ্রহণ করে।কর্মসূচীর শুরুতেই তাঁরা জনগনের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাপ্তাই বাজারের মূল সড়কে সমাবেশ আয়োজন করে। সমাবেশে সচেতনতামূলক কিছু ব্যানার ফেস্টুন টানানো হয় এবং এগুলোর ছবি দেখিয়ে উপস্থিত জনসাধারণকে তাদের করনীয় বিষয়ে পরামর্শ
প্রদান করে। এ সময় উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি করনীয় এ বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ প্রদান করেন নৌবাহিনী ঘাঁটি বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জমের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার সার্জন লেফটেন্যান্ট এম রাফি-উল-হাসান। সমাবেশ শেষে নৌবাহিনী স্কাউট দল, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীগন বাজার এলাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করে। নৌবাহিনী স্কাউট দল ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এধরনের জনসচেতনতামূলক কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে উপস্থিত জনসাধারণও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার
কাজে অংশ নেয়। তা দেখে নৌবাহিনী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম নূরে আলম ছিদ্দিকী বলেন, “ডেঙ্গু মশা বা ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে আমরা যদি সকালে ঐক্যবদ্ধভাবে সচেতনতার সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়ে যাই এবং ডেঙ্গু জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারি তাহলে এই সমস্যা খুব শীঘ্রই দূর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ”। সর্বপরি দূর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে নৌবাহিনীর সদস্যদের এ ধরনের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থানীয় জনগনকে নৌবাহিনী সম্পর্কে ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা যায়। তাছাড়া এধরনের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের ফলে পাহাড়ি জনগনের কাছে নৌবাহিনীর ভাবমূর্তি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতীয়মান।