১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু একাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত “বাঙালির শোক ও বঙ্গবন্ধুর রক্তাক্ত বাংলাদেশ” শীর্ষক সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আনোয়ারুল আজিম আরিফ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেছেন বঙ্গবন্ধু শব্দটি এখন গবেষণার বিষয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববন্ধু হিসেবে উপাধি দিয়েছেন। এ অর্জন বাঙালি জাতির অহংকার। অর্জিত এ অহংকার ও অবদানকে আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুকে জাগ্রত রাখতে হলে বঙ্গবন্ধুর
চেতনা ও আদর্শের পক্ষে কাজ করতে পরলেই তবেই একটি সুন্দর বাংলাদেশ নির্মাণ সম্ভব হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে চাকসুর সাবেক ভিপি ও প্রাক্তন সাংসদ মজহারুল হক শাহ্ চৌধুরী বলেন, ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন কারণ তিনি বাঙালিকে শৃঙ্খলমুক্ত স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ দিয়েছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায়, এরাই বাঙালির স্বাধীনতা চাইনি।
শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও আজব গুজব স্লোগান তুলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে অনৈতিক আন্দোলনের নামে শেখ হাসিনা সরকারকে উখ্যাত করা যাবে না। সাবেক প্যানেল মেয়র রেখা আলম চৌধুরী বলেন, সকল অপশক্তির ষড়যন্ত্র নসাৎ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ অবশ্যই বাস্তবায়ন হবে।
বঙ্গবন্ধু একাডেমির সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক আলী আহমেদ শাহীনের স ালনায় শোক সমাবেশে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক সৈয়দ দিদার আশরাফী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাসদ নেতা ভানুরঞ্জন চক্রবর্ত্তী, সুযশ্ময় চৌধুরী, ১৪ দলীয় নেতা স্বপন সেন, চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি লায়ন এ.কে. জাহেদ চৌধুরী, দুবাই বঙ্গবন্ধু পরিষদ উপদেষ্টা ও নাজিরহাট কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুদ্দীন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক
আনসারুল হক আনসার, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনোয়ার আজম, এড. আশুতোষ দত্ত নান্টু, শিক্ষাবিদ গবেষক অধ্যক্ষ শেখ এ. রাজ্জাক রাজু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশ কেন্দ্রের মহাসচিব হেফাজত ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দয়াল হরি দে, সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রণবরাজ বড়–য়া, অধ্যক্ষ
নজরুল ইসলাম খান, ডা. দুলাল কান্তি চৌধুরী, রিমন মুহুরী, কাজী আইয়ুব, হারুন উর রশিদ, ইউনুচ মিয়া, জামাল উদ্দিন কান্টু, সোমা মুৎসুদ্দী, মাসুমা কামাল আখি, সজল দাশ, শীলা বৃষ্টি, শহীদুর রহমান খোকন, পারভীর আক্তার চৌধুরী, নুরুল হুদা চৌধুরী, জাকির হোসেন, ডা. আ.ম.ম নুরুল হক, কামাল হোসেন, সেলিম উদ্দিন ডিবলু, আরিফুল আকবর, আল আমিন, শিল্পী কাকলী দাশগুপ্ত, শিল্পী নুপুর আক্তার প্রমুখ।