চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব’র বঙ্গবন্ধু হলে আওলাদে রাসুল, গাউসে জামান আল্লামা হাফেজ সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রা)’র ২৭তম সালানা ওরস শরিফ উপলক্ষে আয়োজিত গাউসে জামান আল্লামা তৈয়্যব শাহ্ (রহ.)’র জীবন-দর্শন-অবদান’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন-হুজুর কেবলা তৈয়্যব শাহ্ (রহ.)’র নির্দেশ ‘কাম করো, দ্বীনকো বাঁচাও, সাচ্ছা আলেম তৈয়ার কর’ আজ এটি বড় বেশি প্রাসঙ্গিক। তিনি সেদিন দেখতে পেয়েছিলেন, আমাদের প্রিয় দ্বীন-ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য বাতেল ফেরকা কীভাবে চক্রান্ত করে যাচ্ছে,
চক্রান্ত চলছে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে। সূফি-আউলিয়াদের ইসলামে কোন হানাহানি নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, তলোয়ারের শক্তিতে বিজয় আসেনি, বরং বিজয় এসেছে তাঁদের আর্দশের শক্তিতে। তাই আজ আউলিয়ায়ে কেরামের সেই শিক্ষার চর্চা করা এবং আল্লামা তৈয়্যব শাহ্’র নির্দেশিত পথে দ্বীনের জাগরনে কাজ করছে আনজুমান, জামেয়া ও গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, তৈয়্যব শাহ্ হুজুরের সংস্কার জসনে জুলুস’র আজ ইসলামি জজবার উজ্জল নিদর্শন। তাঁর জীবন-দর্শন-অবদান কালে-কালে বিশ্ব মানবতাকে মুক্তির দিশা দেবে উল্লেখ করে জীবনের সর্বস্তরে
হুজুর কেবলার আদর্শ ও শিক্ষা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র উদ্যোগে আজ ২৪ আগস্ট শনিবার সকাল ১০টা হতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ব্যরিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপরোক্ত আহ্বান জানান। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র কেন্দ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ পেয়ার মুহাম্মদ কমিশনারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-মহাসচিব এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার’র স ালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেমস ফিনলে’র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আলহাজ্ব আহমদ কামরুল চৌধুরী ওবিই,
আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। আলোচনায় অংশ নেন-আল-কুরআন গবেষক আল্লামা এম.এ. মান্নান, দৈনিক আজাদীর চীফ রির্পোটার আলহাজ¦ হাসান আকবর, আঞ্জুমান প্রেস ও পাবলিকেশনস সেক্রেটারি প্রফেসর কাজি শামসুর রহমান, জামেয়ার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আলহাজ্ব প্রফেসর দিদারুল ইসলাম, সাউদার্ণ বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাওলানা সৈয়দ জালাল উদ্দিন আল্-আজহারী, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’র কেন্দ্রিয় ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, আলহাজ¦ আবদুল হামিদ,
মহাসচিব আলহাজ¦ শাহজাদ ইবনে দিদার, আলহাজ¦ মাহাবুবুল হক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ মাহাবুব এলাহি সিকদার, চট্টগ্রাম মহানগর গাউসিয়া কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবুল মনসুর, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ সাদেক হোসেন পাপ্পু, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হাবিব উল্লাহ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, হুজুর কেবলার সমগ্র জীবন ছিল দ্বীনের পূঃনর্জীবনের এক মহামিশন। যে মিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল আটশো বছর আগে বড়পীর গাউসুল
আযম জিলানী (রা)’র হাতে। গাউসে পাক (রা) ছিলেন ‘মূহিউদ্দিন ‘ বা দ্বীনের পূনঃর্জীবনদাতা। আর, আল্লামা তৈয়্যব শাহ্ তাঁরই যোগ্য প্রতিনিধি, কাদেরিয়া ত্বরিকার সাজ্জাদানশীন, যিনি ডাক দিয়েছেন, কাম করো-দ্বীনকো বাচাও। আর, দ্বীন বাঁচানোর এই মিশনে তিনি যুক্ত করে গেছেন শতাব্দির শ্রেষ্ঠ সংস্কার-জশনে জুলুস, মসলকে আ’লা হযরত সহ শত শত সুন্নি আক্বিদাভিত্তিক মাদ্রাসা।
তিনি ত্বরিকতের সাথে শরিয়ত, দ্বীনি খেদমত ও সহীহ্ আক্বিদার সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। ইসলাম ও সূফিবাদের সহীহ্ ধারার জাগরণে তিনি ছিলেন চলমান হিজরি শতাব্দির অগ্রদূত এবং মহান সংস্কারক। শুধু তাই নয়, সমসাময়িক নির্ভরযোগ্য ওলামা-মাশায়েখ ও বুজুর্গগনের দৃষ্টিতে তিনি ছিলেন জামানার গাউস এবং মুজাদ্দিদ। পরিশেষে কেন্দ্রীয় দাওয়াতে খায়র মুয়াল্লিম মাওলানা ইমরান হাসান কাদেরীর পরিবেশনে মিলাদ, কেয়াম ও মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।