
খাগড়াছড়ি দিঘীনালায় ইউপিডিএফ’র ৩ সদস্যকে সেনাবাহিনী কর্তৃক বিচার বর্হিভুতভাবে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। বিক্ষোভ মিছিলটি আজ ২৬ আগস্ট ২০১৯ইং সোমবার বিকাল ৪ টায় নগরীর ডিসিহিল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব ঘুরে চেরাগী মোড়ে এসে এক সমাবেশে মধ্য দিয়ে শেষ হয়। পিসিপি মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক অমিত চাকমার সভাপতিত্বে চবি শাখার দপ্তর সম্পাদক সোহেল চাকমার স ালনায় মিছিল পরবর্তী অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য
রাখেন পিসিপি’র চবি শাখার নেতা রোনাল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা। সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত রবিবার দিবাগত রাত ২ টায় ইউপিডিএফ’র ৩ সদস্য ভূজেন্দ্র চাকমা, নবীন জ্যোতি চাকমা, রূচিল চাকমা রাসেল সাংগঠনিক কাজ শেষে দীঘিনালায় কৃপাপুরের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই দীঘিনালা জোনের একদল সেনা অন্যায়ভাবে আটক করার পর থানায় হস্তান্তর না করে ক্যাম্পে আটক করে রাখে। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে সেনারা গাড়ীতে করে আটককৃতদের উপজেলার বড়াদামের বিনন্দচুগ
এলাকায় জঙ্গলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর পরই সেনারা নিজেদের অপরাধ আড়াল করার জন্য বন্দুক যুদ্ধে ইউপিডিএফ’র ৩ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর আগেও একইভাবে গত ২৩ আগস্ট সেনারা সাজেকে ইউপিডিএফ’র সাবেক কর্মী সুমন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করার পর বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে অপপ্রচার চালায়। সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসিন্দাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের জন্য সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং
পাহাড়ে অঘোষিত অযৌক্তিক সেনা শাসনকে যৌক্তিক হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য শাসকশ্রেণি নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ইউপিডিএফ’র নেতাকর্মীদের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে অস্ত্র গুঁেজ দিয়ে মিডিয়ায় সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করছে এবং বিনা বিচারে ক্রসফায়ারে হত্যা করছে। বক্তারা অবিলম্বে সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক দোষী সেনাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, পাহাড়ে অযৌক্তিক সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার সহ পাহাড়ে পুনর্বাসিত সেটেলারদের সমতলে পুর্নবাসনের জোর দাবি জানানো হয়।