বিনোদন ডেস্কঃ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের অন্যতম। প্রযোজক। ও পরিচালক জনপ্রিয় অভিনেতা খলিলুর রহমান বাবর আর নেই চলচ্চিত্র জগতের সবাইকে কাঁদিয়ে। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক খলিলুর রহমান বাবর আর নেই। সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা’রা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়ক জায়েদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও ফুসফুসের জটিলতায়
ভুগছিলেন বাবর।আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার মুখ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন বাবর। খল অভিনেতা হিসেবে বাবরের যাত্রা শুরু রাজ্জাক প্রযোজিত ও জহিরুল হক পরিচালিত ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। এরপর প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।বাবরের চিকিৎসার টাকা ছিল না, তার কোন খবর নেননি শিল্পীরাও: অঞ্জনা“গতকাল আমি বাবর ভাইকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে দেখে উঠে বসলেন। বাবর ভাইয়ের চোখে পানি চলে আসে। অনেক খুশি হন আমাকে দেখে। অশ্রুসজল চোখে আমাকে বললেন, ‘এত
দিন ধরে আমি অসুস্থ, অথচ আমাকে দেখতে কোনো শিল্পী বাসায় বা হাসপাতালে আসেনি।অনেক দিন পর নিজের কাউকে দেখে সত্যি খুশি হয়েছি। আসলে চলচ্চিত্রই তো আমার পরিবার, চলচ্চিত্রের মানুষই আমার কাছের মানুষ।’’’ কথাগুলো বলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা। আজ সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের একসময়ের দাপুটে খল অভিনেতা বাবর মা’রা যান। গতকাল হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন অঞ্জনা। সে সময় বাবরের সঙ্গে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন তিনি।টাকার অভাবে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেননি বাবর—
এমনটি জানিয়ে অঞ্জনা বলেন, ‘বাবর ভাই গুণী অভিনেতা ছিলেন। তবে তিনি টাকার মালিক ছিলেন না। যে কারণে সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেননি। যে কিছু টাকা ছিল, তা এরই মধ্যে খরচ হয়ে গেছে। আজ স্কয়ার হাসপাতাল থেকে সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার কথা ছিল। কারণ, এখানে তিনি চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে পারছিলেন না। এর আগে পা কেটে ফেলার পর টাকার অভাবে চিকিৎসা শেষ না করেই বাড়িতে যেতে হয় বাবর ভাইকে।’জায়েদ খানকে দোয়া করেছেন বাবর—এমনটি জানিয়ে অঞ্জনা বলেন, “তবে সব সময় জায়েদ খান তাঁর খবর নিতেন। তিনি গতকাল আমার সঙ্গে কথা
বলার সময় জায়েদ খানের জন্য দোয়া করেন। জায়েদ খানকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জীবনে এমন সাধারণ সম্পাদক দেখিনি। সব সময় আমার খবর নিয়েছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন, মনে সাহস দিয়েছেন। অথচ আমি যাঁদের সঙ্গে তিনশ ছবি করেছি, তাঁরা কেউ আমার খবর নেয়নি।’”সম্প্রতি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হলে বাবরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে তিনি গ্যাংরিনের সমস্যায় ভুগছিলেন। গত ৯ জুন অপারেশন করে তাঁর বাঁ পা অপসারণ করা হয়েছিল। বাবরের বাঁ পায়ের তিনটি আঙুল গ্যাংরিনে আক্রান্ত ছিল। এফডিসিতে বাবরের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার মুখ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন বাবর। খল অভিনেতা হিসেবে বাবরের যাত্রা শুরু হয় রাজ্জাক প্রযোজিত ও জহিরুল হক পরিচালিত ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই গুণী অভিনেতা।প্রায় এক যুগ আগে মনোয়ার হোসেন ডিপজলের ‘তের গুণ্ডা এক পাণ্ডা’ চলচ্চিত্রে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন বাবর। তিনি ‘দাগী’ নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। পরিচালনা করেছেন একমাত্র চলচ্চিত্র ‘দয়াবান’। শারীরিক
অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও একটু সুস্থবোধ করলেই এফডিসিতে আড্ডা দিতে আসতেন তিনি।বিশেষ করে তাঁর চলে যাওয়াতে ঢাকাইয়া চলচিত্রে এফডিসিতে সবার মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া বিশেষ করে খলিলুর রহমান বাবর এর হাত ধরে অনেক নায়ক নায়িকার আবির্ভাব ঘটেছিল চলচ্চিত্র জগতের