মাহমুদুল হাসান:ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ১২নং মোকনা ইউনিয়নের করটিয়া কাজী বাড়ী গ্রামের দুই সন্তানের জননী মমতাজ (২৬) নামের পুত্রবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত লম্পট শ্বশুর মো. সাইজুদ্দিনেরর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে তুলে ধরে টাঙ্গাইলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ধর্ষিতা ও তার পরিবার।রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ১২নং মোকনা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার সোহেল রানা, ধর্ষিতার মা নাসিমা ও নানা
মো. বাবর আলী।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ধর্ষিতার মামা মো. সোহেল রানা বলেন, নাগরপুরে ১২নং মোকনা ইউনিয়নের করটিয়া কাজীবাড়ী গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের ছেলে লম্পট শ্বশুর মো. সাইজুদ্দিন গত এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে রাত ১২টা ৩০ মিনিটে তার নিজ বাড়ীতে তার ছেলের রুমে পুত্রবধূকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।এ ঘটনায় লিখিত বিবরণে জানা যায়, গত জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখে ধর্ষকের পুত্র রুবেলের সাথে বিয়ে হয়। বিযের পর দাম্পত্য জীবনে পুত্রবধূর এক কন্যা রাবেয়া (০৫) এবং পুত্র মেরাজ (২.৫) জন্ম গ্রহণ করে।
এরপর স্বামী রুবেল মিয়া সংসার চালাতে স্ত্রী সন্তান রেখে গত এক বৎসর পূর্বে বিদেশ চলে যায়। রুবেল বিদেশ যাওয়ার পর পরই লম্পট শ্বশুর সাইজুদ্দিন তার পুত্র বধূর উপর কুনজর দিতে শুরু করে। দিনের পর দিন লম্পট শ্বশুর তার লোভ লালসার শিকার করতে পুত্র বধূর সাথে ঘনিস্ট হওয়ার অভিনয় শুরু করতে থাকেন প্রতিনিয়ত।লিখিত অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, এক পর্যায় অনৈতিক কাজের কুপ্রস্তাব দেয়। পুত্রবধূ তার শ্বশুরের কু-প্রস্তাব গোপনে তার শ্বাশুরিকে জানান। পরে পুত্রবধূর এমন কথা শ্বাশুরি বিশ্বাস করেনি। পরদিন রাতে লম্পট শ্বশুর পুত্রবধূর থাকার ঘরের পাশে ওৎ
পেতে বসে থাকে। পুত্রবধূ প্রাকৃতির ডাকে বাহির হইলে লম্পট শ্বশুর চুপ করে ঘরে ভিতর প্রবেশ করে খাটের নিচে বসে থাকে। পুত্রবধূ ঘরে প্রবেশ করলে সে সময় দরজা বন্ধ করার সাথে সাথে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মুখ চেপে পুত্রবধূকে চাকু বের করে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। চিৎকার করলে প্রাণে মেরে ফেলা ও তার দুটি সন্তাকে এতিম করবে বলে তাকে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।এ নেক্কার জনক ঘটনার বিচার চেয়ে ওই পুত্রবধূ মমতাজ ১২ নং মোকনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান বলেন, কেউ এদের বিচার করতে পারবেনা বলে জানান এবং
কোর্টের মাধ্যমে মামলা করার পরামর্শ দেয়। ধর্ষিতা মামলা করার কারণে দুইটি শিশু সন্তানকে গুম অথবা খুন করে ধর্ষিতার পরিবারকে অন্যায়ভাবে ফাঁসানোর চেস্টা করছে বলে জানান ধর্ষিতার পরিবার।এ ঘটনায় গত আগস্ট মাসের ২৯ তারিখে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৩৫৫নং মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগি মমতাজ ও তার পরিবার। মামলাটি এখন টাঙ্গাইল জেলা পিবিআইকে তদন্তের ভার হস্তান্তর করে ট্রাইব্যুনাল। মামলাটি এখনো তদন্তাধীন আছে। এ অবস্থায় দুইটি সন্তান ও ধর্ষিতা পুত্রবধূ ও তার পরিবারের জীবন রক্ষার্থে সরকারের হস্তক্ষেপ কমনা করেন ভুক্তভুগিরা।