‘আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আন্তঃধর্মীয় ও প্রথাগত শান্তিস্থাপনকারী গণের উদ্যোগে “জাতীয় শান্তি ও সম্প্রীতি সংলাপ”-টেকসই-শান্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়াস : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া শীর্ষক বহুমাত্রিক সংলাপ ষ্টেশন রোডস্থ হোটেল সৈকতে দিনব্যাপী কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এতে দেশের বরেণ্য ৪ জন চেইন্সমেকার ও ১টি বিদেশী সংগঠনকে অতীশ চেইন্সমেকার এয়্যাড প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন’র মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দিন এয়্যাড প্রদান করেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারীর
দায়িত্বে ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রনব রাজ বড়–য়া। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অনুষ্ঠানের উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সনৎ কুমার বড়–য়া। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ৩১নং আলকরন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিম, ৩৩নং ফিরিঙ্গী বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে এয়্যাড গ্রহণ করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জেমস্ গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন বড়–য়া চৌধুরী, শহীদ সোরওয়ার্দ্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা: উত্তম কুমার বড়–য়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ও নদী
গবেষক ড. মো: মঞ্জুরুল কিবরীয়া, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার দেব, থাইল্যান্ড ভিত্তিক শান্তিবাদী সংগঠন আইনেব এর পক্ষে সোমবুন চুংপ্র্যাম্প্রি (মু)। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কোঃ- চেয়ারম্যান ডা: দিবাকর বড়–য়া। প্রধান অতিথি আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেন-শান্তি মানুষের জন্য, মানবতার জন্য। এই শান্তি একক কোন সম্প্রদায়ের জন্য নয়। সর্বধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয়। এই শান্তি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্য শান্তি অপরিহার্য অংশ বলে মনে করি। কোন ধর্মে
অশান্তির কথা বলেনি। তুবও আমরা হানা-হানি, মারা-মারি, অস্ত্রের ঝনঝনানিতে সারাবিশ্বকে অশান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছি। এই অনুষ্ঠানে আয়োজনকারী সংগঠন অতীশ-দীপঙ্কর পিস্ স্ট্রাস্ট বাংলাদেশ ও সহযোগী আয়োজক আন্তঃধর্মীয় শান্তি স্থাপনকারী দল চট্টগ্রাম ও মানবতাবাদী বৌদ্ধ সংগঠন অতীশ-দীপঙ্কর সোসাইটি। সকাল ৯টায় পুরোদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শুভ উদ্বোধন করেন জাতীয় বৌদ্ধ নেতা বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি’র সাবেক চেয়ারম্যান বাবু রাখাল চন্দ্র বড়–য়া। সম্মানিত প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. অনুপম সেন। সকাল
১০টায় উপ-সংলাপ আন্তঃধর্মীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা সংলাপ হতে কার্যকরণ সেশন সভাপতি প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়–য়া। সেশন বক্তা ছিলেন প্রফেসর মাসুম আহমেদ, রেভারেন্ট অসাই ত্রিপুরা, হাকিম মৌওলানা, মো: ইকবাল ইউসুফ, প্রফেসর ডা: জহরুল ভট্টাচার্য্য, সোমবুন চুংপ্র্যাম্প্রি (মু), এড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ। সকাল ১১.৩০ মিনিটে উপ সংলাপ-২ সার্বজনীন দায়িত্ববোধ সৃষ্টি ও অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক উম্মাদনা, ধর্মীয় উগ্রবাদ হ্রাসকরণ সেশান সভাপতি ইকবাল বাহার সাবেরী। সেশন বক্তা ছিলেন প্রফেসর ভদন্ত ড. জ্ঞানরত্ম মহাথের, এড. তপন কান্তি
দাশ, শ্রীমৎ ড. প্রিয়দর্শী মহাথের, এড. মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম সেলিম, লোকপ্রিয় বড়–য়া, শাসন বড়–য়া, সৈয়দ সাইফুল আলম নাইডু। উপ-সংলাপ-৩- শান্তিপূর্ণ ও অর্ন্তভূক্তি মূলক সমাজ গঠনে-যুব ও মহিলাদের ক্ষমতায়ন বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত। সেশন সভাপতি ছিলেন প্রফেসর রীতা দত্ত। সেশন বক্তা ছিলেন ডা: প্রীতি বড়–য়া, এড. জিনাত সোহান চৌধুরী, নজরুল ইসলাম মান্না, প্রফেসর ড. সুব্রত বরণ বড়–য়া, অধ্যাপক ববি বড়–য়া, মিস তাজিন আক্তার। উপ সংলাপ-৪- জলবায়ুর ন্যায়তা, পরিবেশগত মূল্যবোধ ও মানবিক উৎকর্ষতা বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
সেশন সভাপতি প্রফেসর ড. প্রভাত চন্দ্র বড়–য়া। সেশন বক্তা ছিলেন প্রফেসর ড. মো: মঞ্জুরুল কিবরীয়া, প্রফেসর মাসুম আহমেদ, অধ্যক্ষ শিমুল বড়–য়া, সনৎ কুমার বড়–য়া প্রমুখ। অনুষ্ঠনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন-প্রফেসর তুষার কান্তি বড়–য়া, রঞ্জিত বড়–য়া, দীপেন বড়–য়া, অধ্যাপিকা সুপ্তি বড়–য়া, সৌমেন চক্রবর্তী, হাসান মো: রিপন, শরীফ নবাব হোসেন, সুপালবংশ ভিক্ষু, এড. শাহ আলম প্রমুখ।