আজ দুপুর ১১.০০ ঘটিকায় ওয়ার্লেস কলোনীর পাহাড়তলী বিশ^বিদ্যালয়ের সামনে এস পি জি আর সি, চট্টগ্রামের উদ্যোগে নি¤েœ দাবী আদায়ের লক্ষে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচীর শেষে জেলাপ্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। গত ০৫/১০/২০১৯ইং তারিখ বিদ্যুৎ লোড শেডিং কে কেন্দ্র করে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার ফলে বহুলোক হতাহত হয় এবং পুলিশ নিরীহ ক্যাম্প বাসীদের কে গ্রেফতার করে এবং ক্যাম্প বাসী ও এস পি জি আর সি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানা কয়েকটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে উক্ত দিনের পর থেকে
\আজ পর্যন্ত পুলিশ যখন তখন জেনেভা ক্যাম্পে হানা দিচ্ছে এবং দোকান পাট খুলতে দিচ্ছে না। যার ফলে জেনেভা ক্যাম্প বাসী আতংকে দিনাতিপাত করিতেছে। উক্ত ঘটনার পর বাংলাদেশ-এর প্রতিটি ক্যাম্পে আতংক ও হতাশা বিরাজ করছে আমরা আজকের এই প্রতিবাদ মানব বন্ধনের মাধ্যমে জেনেভা ক্যাম্পের ঘটনার সুষ্ট তদন্ত এবং সকল ধরনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ বিদ্যুৎ ও ক্যাম্প উচ্ছেদ বন্ধ করা সহ স্থায়ী সামাধানের দাবী জানাচ্ছি। গত ১৪/০৪/২০১৫ইং তারিখ এস.পি.জি.সির প্রতিনিধি দল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ নেত্রী জনাবা শেখ হাসিনা মহোদয়ের সহিত
গণভবনে সাক্ষাৎ করিলে তিনি অবাঙালী ক্যাম্প বাসীদের স্থায়ী পুর্ণবাসন এর আশ^াস প্রদান করেছিলেন। কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় জেনেভা ক্যাম্পের অবাঙালীদের পুর্ণবাসন এর একটি সংবাদ প্রচারিত হয়। যেখানে প্রতিটি পরিবারকে ৮০০ আটশত বর্গফুট ফ্ল্যাট এর জন্য ৬৩,৫৬,০০০/- টাকা মুল্য ধার্য্য করা হয়। যাহা ৩০ বৎসরের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে, উল্লেখ্য যে, প্রতিটি পরিবারকে প্রতি মাসে ১৭,৬০০/- টাকা পরিশোধ করিতে হইবে কিন্তু ক্যাম্প বাসীর প্রতিটি পরিবার এর যেখানে মাসিক আয় ৮,০০০/ ১০,০০০/- টাকার উর্ধ্বে নহে। সেখানে প্রতিটি
মাসে ১৭,৬০০/- টাকা পরিশোধ করা একটি কাল্পনিক বিষয় আমরা সরকার এর কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি যে, বিনা মুল্যে পুর্ণবাসন এর ব্যবস্থার আয়োজন করা হোক এবং ফ্ল্যাটের পরিবর্তে জমি প্রদানের জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করিতেছি। গত ০৯/১০/২০১৯ইং তারিখ চট্টগ্রাম রেল কর্তৃপক্ষ ওয়ার্লেস কলোনী ও সেগুন বাগানে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যদি অবাঙালীদের উচ্ছেদ করা হয় তাহলে নিরীহ অবাঙালী পরিবার সমুহ বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হইবে আমরা অনুরোধ করব পুর্ণবাসন ছাড়া কোনভাবে উচ্ছেদ কার্য্যক্রম পরিচালনা করা না হয়।
চট্টগ্রাম এস পি জি আর সির প্রতিনিধি দল মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আফসারুল আমিন সাহেব ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মাননীয় মেয়র জনাব আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন সাহেব এর সাথে পর পর কয়েক বার বৈঠক করার পর চট্টগ্রাম এস পি জি আর সি, সরকারী সিদ্ধান্ত মতে চট্টগ্রাম এর সকল ক্যাম্প বাসীর প্রতিটি পরিবারকে বিদ্যুৎ প্রি-পেইড মিটার স্থাপনা করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হয় এবং এস পি জি আর সি সংগঠন এর আহবানে ক্যাম্পের প্রায় ৭০ শতাংশ পরিবার বিদ্যুৎ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করিয়াছে। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখ জনক ব্যাপার এই যে, বাকী পরিবার
সমূহ বিদ্যুৎ প্রি-পেইড মিটার এর জন্য পি.ডি.পি বিবিরহাট, পাহাড়তলী, ফিরোজশাহ, খুলশী বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করিলেও আবেদন মতে পরিবার সমুহকে প্রি-পেইড মিটার দেওয়া হচ্ছে না, বিষয়টি রহস্য জনক। আমরা অত্র স্মারক লিপির মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট অত্যান্ত বিনয়ের সাথে আবেদন করিতেছি যে, স্থায়ী পুর্ণবাসন না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পের নিরীহ ক্যাম্পবাসীর ঘর বাড়ী দোকান পাট উচ্ছেদ কার্য্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য। সুষ্টভাবে ক্যাম্প পরিচালনার জন্য নতুন এডহক কমিটি দ্রুতভাবে গঠন করার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। মানব বন্ধন শেষে এস পি জি আর সি’র প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেন।