বিনোদন ডেস্ক:
চার চার বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন জয়া আহাসান। ভারত বাংলা যৌথ প্রযোজনায় য ছবিতে দীর্ঘদিন ধরে ছবিতে অভিনয় করে যাচ্ছেন, জয়া আহাসান কিন্তু ভালো কাজ করলে ভালো কাজের ফল অবশ্যই মিলে তার জ্বলন্ত প্রমাণ জয়া আহসান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র জাতীয়,পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছেন এই অভিনেত্রী।একবার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে বাংলাদেশে জাতীয় পুরস্কার পেলেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। ‘দেবী’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে ফিরদৌস ‘পুত্র’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন। প্রসঙ্গত ‘পুত্র’ ছবিতেও জয়া আহসান অভিনয়
করেছেন। এই ছবিটিই সেরা ছবি হিসেবে এবছর জাতীয় পুরস্কারে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে। হুমায়ুন আহমেদের গল্প অবল্মনে তৈরি হয়েছে ‘দেবী’। ছবিটি ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। এর আগে জয়া আহসান ২০১১, ২০১২ ও ২০১৫ সালে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। প্রথমবার ‘গোরিলা’, ২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ ও শেষবার ‘জিরো ডিগ্রি’র জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন তিনি।সেরা অভিনেতা হিসেবে ফিরদৌসের সঙ্গে যৌথভাবে পুরস্কার পেলেন সাদিক মহম্মদ সাইমনও। ‘জন্নত’ ছবির জন্য পুরস্কার পেলেন তিনি। সেরা পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তাফিজুর
রহমান। ‘জন্নত’ ছবির জন্যই সম্মানিত হন তিনি। আজীবন সম্মাননা পেলেন এম এ আলমগীর (অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক) ও প্রবীর মিত্র (অভিনেতা)।জয়া আহসান এখন বাংলাদেশেই রয়েছেন। আজ, ৮ নভেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছে ‘কণ্ঠ’। এ নিয়ে অভিনেত্রী আগে জানিয়েছিলেন, ‘কণ্ঠ’ এমন একটি ছবি যার কোনও দেশ, কাল, বর্ণ নেই। এটা সবসময়ের গল্প। অনুপ্রেরণার গল্প। এই গল্প যে কোনও দেশের মানুষকে প্রেরণা জোগাবে। “কলকাতায় করা আমার কোনও ছবি এই প্রথম বাংলাদেশে কমার্শিয়ালি মুক্তি পাচ্ছে। তার উপর কণ্ঠের মতো সিগনিফিকেন্ট একটি ছবি বাংলাদেশের লোক
দেখতে পাবে। ওদের ভীষণ আগ্রহ রয়েছে। ওরা হতাশ হবেন না। ছবিটিকে ভালবাসেন। ইতিমধ্যেই প্রচুর আগ্রহ দেখেছি। হোপ ফর দ্য বেস্ট। দেখি কী হয়। আমার মনে হয় বাংলাদেশের দর্শক একাত্ম হতে পারবে।” বলেন জয়া। অন্যদিকে ফিরদৌসকে বহুদিন ভারতের কোনও ছবিতে দেখা যায়নি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে ‘দত্তা’ ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচারে যাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তোপের মুখে পড়েন তিনি। ভারত সরকার তাঁর ভিসা বাতিল করে। কালো তালিকাভুক্ত করে ফিরদৌসকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ছবিতে ফিরদৌস থাকবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।