নিউজ ডেস্ক:
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে লোকালয়ে হাতির আক্রমণ নিহত ৩ কৃষক মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা, জানিয়েছেন, সাংবাদিক কামাল হোসেন “বন বিভাগের দায়ীত্বহীতার কারণ এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসীদের দাবি। উপজেলার কধুরখীল, সৈয়দনগর ও জ্যৈষ্ঠপুরায় হাতির আক্রমনে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৫টা থেকে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানাযায়, আজ সকালে ৪/৫টি হাতি কধুরখীল তৈয়্যবিয়া তাহেরীয়া সুলতান মোস্তফা কমপ্লেক্সের পূর্বপাশে শরীফ পাড়া এলাকায় শস্যক্ষেতে কাজ করছিল স্থানীয় আবদুল
লতিফ মিস্ত্রির সন্তান আবু তাহের মিস্ত্রি (৬০)। এসময় হাতি আক্রমন করে বসে। হাতির আক্রমনে তাঁর মাথা থেতলে যায়। তার স্পটেই মৃত্যু ঘটে। তিনি ৩পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নিহতের বাড়ি কধুরখীল শরীফপাড়া আলী আহমদ মিস্ত্রির বাড়ি। অন্যদিকে পূর্ব সৈয়দনগরে হাতির আক্রমনে মারা গেছেন খরণদ্বীপ বিজান বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক জাকের হোছাইন (৬৫)। তিনি চরণদ্বীপ ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দনগর জাকের মাস্টারের বাড়ির মৃত আবদুল মোনাফের ছেলে। নিহতের কন্যা ফাহমিনা আফরোজ
তারিন জানান, সকালে চাঁন্দারহাট জামে মসজিদের পাশে হাতির পাল তাঁর বাবাকে আক্রমন করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে হাতিগুলোর একটি তপাল পাহাড়ের দিকে যাওয়ার পথে শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের আমির পাড়ার আবদুল মাবুদ (৬০) নামে এক কৃষককে আক্রমন করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। স্থানীয় ইৃউপি সদস্য মো. হাছান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে
বলেন, হাতির আক্রমনে আবদুল মাবুদের মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয় আলী আহমদের ছেলে। তার ১ছেলে ৩মেয়ে রয়েছে। এব্যাপারে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ফারুকি সাংবাদিকদের বলেন, তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। হাতিগুলো দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশে আছে বলে। জানিয়ে তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, গত শনিবার ভোরে জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসে ৮টি হাতি। দিনভর হাতিগুলো পূর্ব কধুরখীল দারোগার বাড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। আজ সকালে দুভাগে বিভক্ত হয়ে
একদল কধুরখীল -চরণদ্বীপের দিকে যায়, অন্যদল খরণদ্বীপ হয়ে পাহাড়ের দিকে চলে যায়। আমরা কৃষকের সন্তান নামের একটি, সংগঠন এলাকাবাসীদের সচেতন করার, জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।বিঃদ্র: বন্য হাতিগুলো বর্তমানে জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ে অবস্থান করছে কিন্তু পাহাড়ে খাবারের অভাবে হাতি গুলো যেকোনো সময় লোকালয়ে চলে আসতে পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য আমরা কৃষকের সন্তান পরিষদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি।