বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন জীবনে। আবেগের কোন দাম নেই কথাটা তিনি বিভিন্ন কারণে বললেও তার দেয়া সাক্ষাৎকারে পরিস্কারভাবে বুঝিয়ে, দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। চোটের কারণে জাতীয় লিগে খেলা নিয়েই ছিল অনিশ্চয়তা। অথচ চোট কাটিয়ে ফিরে জাতীয় লিগে এবার নিজের ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম কাটালেন তাসকিন আহমেদ। এখন তার দৃষ্টি বিপিএলে। গত বিপিএলে ভালো করে জাতীয় দলে ফিরলেও চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। চোট, ফর্ম ও নানা কারণ মিলিয়ে গত প্রায় ২১ মাসে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি ম্যাচ। bdnews24 এ দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তাসকিন জানালেন, এই দুঃসময় থেকে জীবন ও ক্রিকেট নিয়ে শিখেছেন অনেক। বদলে ফেলেছেন নিজেকে।
শোনালেন, জাতীয় দলে ফিরে লম্বা সময় খেলার প্রত্যয়।জাতীয় লিগে এবার শেষ ৩ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন, বলা যায় অভাবনীয় সাফল্য। বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে এমন পারফরম্যান্সে নিজেও কি চমকে গেছেন? তাসকিন: তা জানি না, তবে ভালো করার বিশ্বাস ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে বেশি খুশি যে ১০১ ওভার বোলিং করেছি (বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচসহ ৪ ম্যাচে)। লম্বা সময় বোলিং করতে পেরেছি। ইনজুরির পর ফিট হতে অনেক কষ্ট করেছি। সময় নিয়ে পুরো ফিট হয়ে তবেই মাঠে নেমেছি। এরপর গরমের মধ্যে এত ওভার বোলিং করতে পারাই বলে দেয় যে ফিটনেস এখন খুব ভালো আছে। জাতীয় লিগের ম্যাচে আমি কোচ তালহা জুবায়ের ভাইকে (সাবেক জাতীয় পেসার) বলে রেখেছিলাম, ‘প্রতিটি সেশন আমাকে আলাদা করে পর্যবেক্ষণ করবেন।’ লিগ শেষে তিনি
জানিয়েছেন যে প্রতিটি সেশনেই আমি ভালো এফোর্ট দিয়ে বল করতে পেরেছি এবং খুব ভালো লেগেছে তার। বিশেষ করে দিনের শেষ সেশনে, সাধারণত আগে ক্লান্ত থাকতাম তখন, গতি কমে যেত। এবার তালহা ভাই বলেছেন যে শেষ সেশনেও ভালো গতি ছিল। আমি চেষ্টায় কমতি রাখিনি। ইনজুরি থেকে ফেরার পর আমার একটাই ভাবনা ছিল, ঘরোয়াতে যদি সুপার এফোর্ট দিয়ে খেলতে পারি, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও পারব। আগে অনেকেই বলেছেন যে ঘরোয়া ক্রিকেটে সবটা দিয়ে বোলিং না করতে। বলতেন শক্তি টিকিয়ে রাখতে, ইনজুরির কথা মাথায় রাখতে।
কিন্তু এখন আমি বুঝেছি যে ঘরোয়া ক্রিকেটে হাই ভলিউম চেষ্টা না করলে জাতীয় দলেও পারা যায় না।সবকিছু ভেবেই আমি খেলার ধরন, ট্রেনিংয়ের ধরন বদলে ফেলেছি। পেসারদের ইনজুরি হবেই। ইনজুরি হলে ফেরার লড়াইয়ে নামতে হবে। কিন্তু যখন যেখানে খেলব, সর্বোচ্চ এফোর্ট দেব। আমি ন্যাচারাল সুইং বোলার নই। আমার মূল কাজ জোরে বল করা, সেটি করতেই হবে। সুস্থ থাকলে সেভাবেই বল করার চেষ্টা করব। এবারের মৌসুমীও তাসকিন আহমেদ, বিপিএল ভালো খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন জীবনে সুযোগ পেলে আরো ভালো খেলব ইনশাল্লা।
সূত্র বিডিনিউজ ২৪ ডটকম।