ছাতকে উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মছবিবরে বিরুদ্ধে সাতটি র্অথ বছরে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের টাকা নেন ব্যক্তিগত একাউন্টে।সরকারি বরাদ্ধের টাকা কোথায় কিভাবে ব্যয় করা হয় তাও জানেন না ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা । ৪ বছর ধরেই সদস্যদের মাসিক বেতন ভাতার টাকা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪হাজার ৪শ’টাকা ও পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন মেম্বাররা। জনগন তাদের বাড়ি ঘরে কর রাজস্ব প্রতিবছর জমা দিচ্ছেন ৪ লক্ষ ৩৭হাজার ৭শ’১৫ টাকা উত্তোলন হলে ৭টি অর্থবছরে প্রায় ৩০লক্ষ ৬৪হাজার ৫ টাকা ইউনিয়নের রাজস্ব আত্মসাত করেছে চেয়ারম্যান আব্দুল মছবির।ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এলাকায় বিভিন্ন হাটবাজার দোকান ঘরে
প্রায় ১হাজার ট্রেড লাইসেন্স ফিসের ৪লক্ষ টাকা ইউপি ফান্ডে জমা না দিয়ে তার পকেটে রাখা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে ট্যাক্সের টাকা, ট্রেড লাইসেন্স,নাগরিক ও উত্তারাধিকার সনদের ফিসের টাকা হিসাব মিলচ্ছে না। এনআইডি কার্ড জাল জালিয়াতি করে ৫৩ বছর বয়সে ৬৫ বছর দেখিয়ে তার আপনভাইকে বয়স্ক ভাতা দেয়া হচ্ছে এবং ২০০১ সালে ২৭ মে জন্ম তারিখ টাকার বিনিময় জন্মনিবন্ধন জালিয়াতি ১৫জুলাই ১৯৮৪ সাল উল্লেখ্য করেছে হাতলানি গ্রামে টুনু মিয়াকে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি করে বয়স বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। ইউপির বিভিন্ন গ্রামে জনবহুল রাস্তায় সরকারি বরাদ্ধে দেয়া প্রকল্পের মুল রাস্তার বাদ দিয়ে ব্যক্তিদের নামে প্রকল্প তৈরি করে গ্রামে কোন্দল সৃষ্টি করে আসছে। ১৮ ১৯ অর্থ বছরে মজাদ গ্রামের এলজিএসপি প্রকল্পে একটি প্রকল্প জনস্বাথে না করে
ব্যক্তিস্বাথে করার এ ঘটনায় জনগনের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়ার কারনে এলজিএসপি প্রকল্পটি রাতারাতি চেয়ারম্যান বাতিল করতে বাধ্য হন। তার বিরুদ্ধে রয়েছে একই নামে একাধিক ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করেই প্রায় ১০ লাখ টাকা লুটপাটের এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক.দুনীতি দমন কমিশন ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার নিকট লিখিত ভাবে মযাদ গ্রামে পালপুর উর্চ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক সামছুল ইসলাম.শফিক মিয়া.মজম্মিল আলীসহ ৮জন বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন।এব্যাপারে ইউপি সদস্য শাহ এমরান হোসেন, আব্দুর আলীম,কৃপেশ চন্দ্রসহ জানান, এলজিএসপির বরাদ্দের টাকায় কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়। চেয়ারম্যান আগের কাজের প্রকল্প দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন। আবার কোনো সদস্য এসব নিয়ে কথা বললে প্রকল্প দেয়া হবে না
বলে হুমকিও দেয়া হয়। এলজিএসপির প্রকল্পগুলো নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করলেই ধরা পড়বে তার কোটি টাকা নানা অনিয়ম দুর্নীতি। তারাও হামলা মামলার ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না। সে বিএনপি থেকে এসে নব্যআ’লীগ সেজে তৃনমুলে নেতাকমীদের নানা অত্যাচার করছেন বলে আ’লীগের অনেক নেতাকমী জানান সরকারদলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা বলে অভিযোগ করেছে।এছাড়া ও তিনি সরকারি বরাদ্ধ কাবিখা, কাবিটা ,টিআর , জিআর সহ বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে বরাদ্ধ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৪বছর ধরেই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের প্রায় ২৫লক্ষ ৯৬হাজার টাকা অংশের বেতন ভাতার পরিষদের পক্ষ থেকে ৪বছরের ১৫হাজার টাকা পরিশোধ করলে তাদের জনপ্রতিটি ১লক্ষ
৯৬হাজার টাকা পাওনা রয়েছে এসব বেতন ভাতার টাকা রহস্যজনক ভাবে চেয়ারম্যান পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল মছবিরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে ভুয়া একাধিক প্রকল্প তার ছোটপুত্র জাকারিয়ার নামে সৌরবিদুৎ প্রকল্প বরাদ্ধকৃত টাকা উত্তোলন করে নিজ ঘরে বিদুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সরকারী কোন নীতিমালা না মেনেই পেশি শক্তির ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পরিষদের মেম্বারদের সরকারি গেজেট অনুযায়ী ২০১৯ এর জুলাই থেকে ৩ হাজার টাকা নিয়মে দেয়া হতো ভাতার টাকা।কিন্তু গত জুলাই মাস থেকে সেটা বেড়ে ৪৪০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও তিনি কোনো মেম্বারদের টাকা পরিশোধ এখনো করেনি এবং কোনো মিটিং এ মেম্বারদেরকে না ডেকেই তার নিজের ইচ্ছাই চলছে
ইউনিয়ন পরিষদের সকল কার্যক্রম। কোনো ইউপি সদস্য তার অনিয়মের বিরুদ্ধে গেলে তিনি হয়ে যান বিরোধদলী ও জামাতকর্মী।তার এ সকল কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও দূর্নীতি দমন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন মানবাধিকার কর্মী হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি।এদিকে চেয়ারম্যানের নানা অনিয়মে প্রতিবাদ করায় আ’লীগ নেতা ইউপি সদস্য আব্দুল আলীমকে বিভিন্নভাবে প্রানে হত্যার হুমকি দেয়ার এ ঘটনায় আ’লীগ নেতা আব্দুল আলীম নিরাপত্তা চেয়ে চেয়ারম্যানের প্রধান সহযোগি নিমল সুত্রধর.প্রদীপ সুত্রধর ও সমীর রঞ্জন সুত্রধর নাম উল্লেখ্য করে ছাতক থানায় একটি সাধারন ডায়েরি দায়ের করে। (যার নং১৮৭) এছাড়া মযাদ গ্রামে শফিক মিয়া বাদী হয়ে গত ২৭ নভেম্বর ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার
কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এ অভিযোগ সরেজমিন তদন্ত হলেই রহস্য বের হয়ে আসবে বলে সচেতন মহল ধারনা করছেন। চেয়ারম্যান আব্দুল মছবির তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ব্যাপারে কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান ৩,৪ জন মেম্বার আমার বিরুদ্ধে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্যে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি অনিয়ম দুনীতি কখনো করেনি.এখন করবো না। তিনি এক প্রশ্নের সঠিক জবাব না দিয়ে বলেন আমি ইসলাসপুর গ্রামে মিটিং এ আছি এবং আপনার সাথে এতো কথা বলার সময় আমার নেই। আপনি আমার বিরুদ্ধে যা লেখার লেখেন,আদালত ও থানার পুলিশ দিয়ে আমি সাংবাদিকের পিটিয়ে শেষ করে দেবার হুমকি দিয়েই তিনি ফোনটি কেটে দেন।