
‘উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অবরোধকালীন সময়ে বিকল্প জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা করতে হবে।’ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ইপসা ও কোস্ট ট্রাস্ট- এর যৌথ আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘জলবায়ু পরিবর্তনে উপকূলীয় অঞ্চলের বিপদাপন্ন জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এই দাবি তোলেন। এছাড়া বক্তারা উপকূলীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়নে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বর্তমানে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের জীবন ও জীবিকা পরিবর্তনের প্রভাবে তাদের জীবিকার
ধরন বদলে যাচ্ছে।প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখন আর সাগরে আগের মতো বেশি সময় মাছ ধরা যাচ্ছেনা। ঝড়ের সিগন্যাল পেলে মাছ ধরা ফেলে কিনারায় চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে। এছাড়াও সাগরে নিয়মিত নিন্মচাপের সংকেত থাকায় দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে মাছ ধরতে যেতে পারছেনা। ফলে তারা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেকের ভাগ্যেও পরিবর্তন হলেও বেশির ভাগ জেলেদের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছেনা।বক্তারা তাদের বক্তব্যে জেলেদের জন্য জাতীয় বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ প্রদান, প্রকৃত ও বাদ পড়া জেলেদের নিবন্ধনের আওতায় আনা, মৎস্য অবরোধকালীন সময়ে জেলেদের বিকল্প জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা
গ্রহণের লক্ষ্যে আরও অধিক প্রকল্প গ্রহণ ও জেলেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিশেষ গুরুত্বারোপসহ বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন।ইপসার সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ১৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার মৎস্যজীবী জনগোষ্ঠী সহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে তাদের সকলকে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের
আওতায় আনা হবে।বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ও আঞ্জুমান আরা বেগম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, চবির ইনিষ্টিটিউট অফ মেরিন সাইন্স এন্ড ফিশারিজের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল দাশ, জেলা মৎস অধিদপ্তরের পরিচালক আনোয়ারুল আমিন এবং বন ও পরিবেশক গবেষণা কর্মকর্তা শাফাত হোসেন। কোস্ট সিজেআরএফ প্রকল্পের প্রোগ্রাম হেড জনাব এম. এ. হাসান এর স্বাগত বক্তব্যের পর সেমিনারের মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন ইপসার প্রকল্প ফোকাল মোরশেদ হোসেন মোল্লা।