বর্তমানে সারা বিশ্বে বর্ণবাদ ও ধর্ম বিদ্বেষ ছড়িয়ে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। বিদ্বেষ ছড়িয়ে ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইরাক, চীন, মিয়ানমার, ভারত সহ সারা বিশ্বে মুসলিম নিধন চলছে। নিজ দেশ ফিলিস্তিনের মুসলমানরা যুগ যুগ ধরে বিশ্ববাসী, সন্ত্রাসবাদী উগ্র ইহুদিবাদীরা যুগের পর যুগ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হত্যা-নির্যাতন করছে। চীনের উইঘুরে লক্ষ লক্ষ মুসলমানদের বন্দী করে নির্যাতন করা হচ্ছে ও ধর্ম কর্ম পালনে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। একইভাবে বৃহত্তর গণতান্ত্রিক দেশের ধ্বজাধারী ভারতে একইভাবে মুসলমানদের রাষ্ট্রহারা করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে৷ কয়েকমাস পূর্বে কাশ্মীরি
মুসলমানদের সাংবিধানিক আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার কেড়ে নিয়েছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার। বিজেপির কর্মীরা গো-রক্ষার নামে হত্যা করছে মুসলমানদের। সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) করে মুসলিম জনসাধারণ ও বাংলাভাষীদের রাষ্ট্রহারা করার সকল বন্দোবস্ত করেেেছ। অন্যদিকে এ অযৌক্তিক বর্ণবাদী আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদী ২৫ জন ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারত সরকার। এ মুহূর্তে বর্বর হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং মুসলিম বিদ্বেষী নাগরিকত্ব আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ও প্রতিবাদ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আহলে
সুন্নাত ওয়াল জামাআতের জাতীয় নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশে নৈতিক অবস্থায় চরমরূপ ধারণ করছে। দিন দিন নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, খুন, ঘুষ, দুর্নীতি, ধর্ষণ, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি ও শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসসহ নানান সামাজিক অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে প্রচলিত আইনে তা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা। এব্যাপারে ওলামা-মাশায়েখদের এগিয়ে আসতে হবে। আজ ২৩ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৯ টায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের জাতীয় কাউন্সিল’১৯- এ দেশবরেণ্য ওলামা-মাশায়েখ ও বক্তারা এসব কথা বলেন। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন শায়খুল হাদীস শেরে মিল্লাত মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী (মা জি
আ)। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক পীরে তরিকত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদ্দৌলাহ। গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান, মহাসচিব আল্লামা এম এ মতিন, শায়খুল হাদীস আল্লামা কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফী, ওআইসি প্রতিনিধি ড. শাহ আব্দুল্লাহ আল মারুফ, অধ্যক্ষ মুফতি হারুনুর রশিদ, মুফতি কাজী আব্দুল ওয়াজেদ, মুহাদ্দিস আল্লামা আশরাফুজ্জামান আল কাদেরী, পীরে তরিকত মোহাম্মদ আলী, আল্লামা কাজী মুবারকউল্লাহ ফরাজী, এড দেলোয়ার হোসেন পাটোয়ারি, ড. আল্লামা আফজাল হোসাইন, ড. অধ্যক্ষ আফজাল হোসেন, অধ্যক্ষ বদিউল আলম রিজভী, অধ্যক্ষ আবদুল আলিম রিজভী, অধ্যক্ষ বদিউজ্জামাল হামদানী, উপাধ্যক্ষ আবুল কাশেম ফজলুল হক, ড. মুহাম্মদ নাসির
উদ্দীন, রিদওয়ান আশরাফী, কাজী সিদ্দীকুর রহমান, এডভোকেট মাহবুব উল আলম চৌধুরী, এডভোকেট দেলোয়ার পাঠওয়ারী, অধ্যাপক অহিদুল আলম, অধ্যক্ষ মোস্তাক আহমদ তৈয়বী, অধ্যক্ষ আবুল হোসাইন, যুবসেনার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, ছাত্রসেনার সভাপতি জি এম শাহাদত হোসেন মানিক প্রমুখ।ইমামে আহলে সুন্নাত- আল্লামা কাযী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী (মা.জি.আ.) কে চেয়ারম্যান, শেরে মিল্লাত আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী (মা.জি.আ.)কে মহাসচিব, আল্লামা সৈয়্যদ মছিহুদ্দৌলা (মা.জি.আ. কে এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ারকে মুখপাত্র, অধ্যক্ষ ইসমাইল নোমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১১ জন কো চেয়ারম্যান, ১৫১ জন প্রেসিডিয়াম, ৫ জন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যসহ সর্বমোট ৩৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।