চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক গণপরিষদের সদস্য দৈনিক আজাদীর সাবেক সম্পাদক, স্বাধীনতা পুরষ্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী স্মরণে এক আলোচনা সভা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান গত ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুকান্ত
ভট্টাচার্য, পালি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন শ্যামল। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ মাহমুদুল হক, মরহুমের পুত্র স্লোগান সম্পাদক মো: জহির, সাতকানিয়া পৌর মেয়র মো: জোবায়ের, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি লায়ন মো: জাফর উল্লাহ, কলামিষ্ট লায়ন এ.কে জাহেদ চৌধুরী, নাট্যজন সজল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা এম.এ সালাম, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ নুরুল আবছার, দৈনিক সমকালের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুজিত কুমার দাশ, সংগীত শিল্পী রুপম
মুৎসুদ্দী টিটু, অমর দত্ত, নুরূল হুদা চৌধুরী, কবি সজল দাশ, লুপর্ণা মুৎসুদ্দী, রুমকি সেনগুপ্তা, পম্পি দাশ, শাহিন ফেরদৌসি, রতন দাশগুপ্ত, মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, সংগঠক মো: লিপটন, সুমন চৌধুরী, সাইফুল আরাফাত বাপ্পা, নারায়ন দাশ, মোজাহেরুল ইসলাম, হানিফ চৌধুরী, রুবেল চৌধুরী, জনি বড়–য়া, কে.এইচ এম তারেক প্রমুখ। আবৃত্তি করেন শবনম ফেরদৌসি, পিয়ম কৃষ্ণ দে। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জাতির বাতিঘর হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দৈনিক আজাদী পত্রিকার সাবেক সফল সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ কাজে, কর্মে, চরিত্রে নির্ভেজাল একজন লোক। যার মাথা হতে পায়ের গোড়ালি পর্য্যন্ত শুভ্রতার চাদরে ঢাকা। এই প্রাজ্ঞ মনীষী শুধু চট্টগ্রাম নয় আলোকিত করেছেন পুরো বাংলাদেশ। দেশ ও জাতির এক দুঃসময়ে
অধ্যাপক খালেদ স্থির চিত্ত নিয়ে স্থায়ী ভাবে যুক্ত হলেন সাংবাদিকতায়। সাংবাদিক হিসেবে সর্বমহলে পরিচিতি পেলেও মূলত তিনি ছিলেন একজন বিশাল মনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দেশের আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম। নৈতিকতার আদর্শে উজ্জীবিত এই মণীষী কাজ করেছেন এই বাংলার জন্য। সভা শেষে ৪ জন শিক্ষার্থী প্রাচী মুৎসুদ্দী, রিমা দত্ত, সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন আক্তারকে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ স্মৃতি বৃত্তি প্রদান করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে আজীবন মানব কল্যাণমুখী কাজে
নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। সাংবাদিকতার অনন্য প্রতিভাবান ব্যক্তি হিসেবে দেশপ্রেমের শিক্ষা নিয়ে নিজের মেধামননকে সবসময় জনহিতকর কাজে লাগিয়েছেন। একজন জ্ঞানবান মানুষ হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ সবসময় নিরহংকারী মনে কাজ করে গেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ সকল লোভ লালসার উর্দ্ধে উঠে সবসময় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ভূমিকা রেখে গেছেন। রাজনীতি ও সাংবাদিকতাকে দেশপ্রেমের মহানুভবতায় কাজে লাগিয়ে বৃহত্তর জনমানুষের সেবায় নিজেকে আমৃত্যু সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ তাঁর মহতি কর্মের জন্য যুগযুগ মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে।