চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের স্মরণ আলোচনা সভায় বক্তারা ভাষা সৈনিক ড. মাহফুজুল হকের দেশপ্রেমের শিক্ষা প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে হবে চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে ভাষা সৈনিক শিক্ষাবিদ ড. মাহফুজুল হকের ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে এক আলোচনা সভা গত ৩ ফেব্রুয়ারি কদম মোবারক এম.ওয়াই.উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ। প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএসটিসির প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়–য়া। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবালের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কাফকোর চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. অরুণ তপন বড়–য়া, রাজনীতিবীদ ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী,
সাবেক ছাত্রনেতা ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাশার, কবি আশীষ সেন, মুক্তিযোদ্ধা এস.এম.লিয়াকত হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লায়ন এম.এ নেওয়াজ, অধ্যাপক বন গোপাল চৌধুরী, শিক্ষক বিজয় শংকর চৌধুরী, সংগীত শিল্পী দিলীপ দাশ, কবি স্বপন কুমার বড়–য়া, কবি সজল দাশ, শিপ্রা সেন, নারীনেত্রী শাহিন ফেরদৌসি, শবনম ফেরদৌসি, সংগীত শিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, নারায়ন দাশ, নিলয় দে, হানিফ চৌধুরী, হারাদন নাথ বাসু, কে.এইচ.এম তারেক, সংগঠক নুরুল হুদা চৌধুরী, ছাত্রনেতা বোরহান উদ্দিন গিফারী, ইরফান উদ্দিন তাসকিন প্রমুখ। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ভাষা সৈনিক অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক শুধু চট্টগ্রাম নয় সারা বাংলাদেশের কৃতি সন্তান।
একজন মহান দেশপ্রেমিক ভাষা সৈনিক হিসেবে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠায় ড. মাহফুজুল হক অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন। যিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, ভাষা সৈনিক, ছাত্রনেতা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সংগ্রামের সফল সংগঠক হিসেবে অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। ড. মাহফুজুল হক রাষ্ট্রের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তন্মধ্যে ঐতিহাসিক তমুদ্দন মজলিশ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, চট্টগ্রামের নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিত্ব, পুর্ব পাকিস্তান বাংলা প্রচলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের সাবেক সদস্য,
চট্টগ্রাম যুক্তফ্রন্ট কর্মী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক, বাংলা একাডেমীর ১ম নির্বাচিত কমিটির সদস্য, দেশের খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাপ্তাহিক ইঙ্গিত, দ্যুতি ও সৈনিকের সম্পাদ এবং ভাষাসৈনিক হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ড. মাহফুজুল হক নিজ দায়িত্বগুলো সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছেন। মাত্র ৩৫ বয়সে বিমান দূর্ঘটনায় এই প্রয়াত ভাষাসৈনিক আমাদের মাঝ থেকে অকালে হারিয়ে গেছে। সভায় বক্তারা দেশের এই কৃতিমান শিক্ষাবিদ ও ভাষাসৈনিক ড. মাহফুজুল হককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করার আবেদন জানান।