মহালছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলাতেও আজ ৮মার্চ রোজ রবিবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন দিনটি নানা আনুষ্ঠানিকতায় উদ্যাপিত হয়েছে। জাতিসংঘ কর্তৃক এ বছর নারী দিবসের প্রতিপাদ্যে ‘আমি প্রজন্মের সমতা- নারী অধিকারের প্রতি সচেতনতা’ আর বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার’ এবং “নারী পুরুষের সমতা শেখ হাসিনার বারতা”
উক্ত র্যালী “নারী দিবসে নারী অগ্রযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর অবদান” শীর্ষক র্যালী শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড় প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। র্যালী শেষে উপজেলা মহিলা কর্মকর্তা জাহান-ই-গুলশান এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা। এ সময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে মহালছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এবং সমাজসেবা কর্মকর্তা শামসুল হক, প্রাক্তন প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত লেখিকা শোভারাণী ত্রিপুরা,উপজেলা রিসোর্স সেন্টার ইন্সট্রাক্টর জসীম উদ্দিন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম হোসেন সহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিসের দাপ্তরিক কর্মকর্তাগণ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী মহিলাগণ ও বিভিন্ন এলাকার সমাজকর্মী, জাবারাংসহ সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
অাজকের আলোচনাসভায় প্রায় বক্তা বলেন ১৯৭১ সালে নারীরা বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু ৭৫ পরবর্তী সময়ে নারীর সম্মান বিসর্জন সম্ভ্রমহানী, ত্যাগ নির্যাতনের বীরত্বের মহিমা কুচক্রী মহল অস্বীকার করতে চেয়েছে। তখন হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্যাতিত নারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নির্যাতনের বীরত্বের মহিমার পুরস্কার হিসেবে ‘বীরাঙ্গনা’ আখ্যা দিয়ে পিতার স্থানে বঙ্গবন্ধুর নাম লেখার আহ্বান জানান। বর্তমান বাংলাদেশে নারীদের প্রতিটি পদে পুরুষের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্যে যে, ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ মজুরি-বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ এবং কর্মক্ষেত্রে বৈরী পরিবেশের প্রতিবাদ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের সুতা কারখানার একদল শ্রমজীবী নারী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের ওপর দমন-পীড়ন চালায় মালিকপক্ষ। নানা ঘটনার পর ১৯০৮ সালে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ও রাজনীতিবিদ “ক্লারা জেটকিন” এর নেতৃত্বে প্রথম নারী সম্মেলন করা হয়। পরবর্তী সময়ে এর ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘ দিনটি “আন্তর্জাতিক নারী দিবস” হিসেবে পালন করে আসছে।