
ছাতক প্রতিনিধি:
আসছে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। এর ইমধ্যে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেল, আটা, ময়দাসহ অন্তত ১৫ ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে আকাশছোঁয়া। বিশেষ করে ছোলা ও খেজুরের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে সীমিত আয়ের মানুষেরা। গত রোববার দুপুরে সরেজমিন ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ নতুন বাজারে দোকান গুলো ঘুরে দেখা গেছে, গরিবের মোটা চাল প্রতিকেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক মাস আগে মাত্র ৩৪ টাকায় এক কেজি মোটা চাল পাওয়া যেতো।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি’র হিসাবেই বলা হচ্ছে, গত এক মাসে মোটা চালের দাম বেড়েছে এছাড়া শুকনো মরিচ ৩শ’৮০ টাকা, আদা ৩১০টাকা, পিয়াজ ৪০-৬০টাকা, দাম বেড়েছে। এছাড়া গত বছরের তুলনায় এখন সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে কেজি ১শ’১০টাকা, পাম তেলের (খোলা) দাম বেড়েছে ৮০ টাকা থেকে ১০০টাকা,রসুন ১৫০-১৬০টাকা,ডালাই ৮৫-১১০টাকা, ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে আগের মতো পণ্য সরবরাহ কম হবার কারনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে মানুষকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে রমজানকে কেন্দ্র করে জিনিসপত্রের দাম ত্রেতার লাগামে বাইরে চলে গেছে। ব্যবসায়ীরা কবির আহমদ জানান, অস্বাভাবিক বেড়েছে পেঁয়াজ-আদা ও রসুনের দাম। ৩০ টাকা কেজির পেঁয়াজ এখন ৬০ টাকার নিচে বিক্রি করছেন না তারা। অনেককে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়ও বিক্রি করতে দেখা গেছে। অস্বাভাবিক বেড়েছে আদার দাম। মসলা জাতীয় এই পণ্যটি এখন ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ৮০ টাকার দেশি রসুন বিক্রি
হচ্ছে ১১০ টাকা। গত সপ্তাহেও দেশি রসুন ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
আর সরু বা চিকন দানা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। ভালো ব্র্যান্ডের চাল এখন বাজারে পাওয়াই যাচ্ছে না। বর্তমানে মিনিকেট ও নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২-৬৮ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ ছিল ৫৫-৬০ টাকা কেজি। আর এক মাস আগে ছিল ৫২-৫৬ টাকা কেজি। অর্থাৎ চিকন চালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে আট টাকা এবং এক মাসের ব্যবধানে ১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।ওসমান আলী জানান,পিয়াজ ৫২টাকা ডালাই ৮৫ বিত্রি করছেন।
একই বাজারে আব্দুল হামিদ জানান,পিয়াজ ৫৫টাকা থেকে ৬০টাকা বিত্রি করছেন লাইন ধরে ক্রেতা নিচ্ছেন।তার দোকানের সামনে পিয়াজ,রসুন,ডালাই রেখে পিছনে বিক্রি খেলাধুলার মালামাল বিক্রি করছেন তিনি। গোবিন্দগঞ্জ বাজারে কোন দোকানে তালিকা তৈরি দৃশ খোজে পাওয়া যায়নি করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গোবিন্দগঞ্জ নতুনবাজারে পাইকারি বাজার ও আড়তে অভিযান পরিচালনা করেছে করবেন মোবাইল টিম।এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ সৈয়দ গাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমান জানান, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।রএব্যাপারে উপজেলার ইউএনও গোলাম কবির জানান, উপজেলার সকল বাজারের মুদি দোকান ও পাইকারি ব্যবসায়িদের ভোক্তা অধিকার আইন অনুয়ায়ি পন্যমুল্যের তালিকা পরিদশন করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। এসব নিদেশনা দেয়ার পর ও ব্যবসায়িরা মানছে না বলে ক্রেতা অভিযোগ করেন।