আল ওমায়ের (সাকিব), চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে ৭ থেকে ১০ দিন। এরই মধ্যে ১২ শো’র বেশী নমুনা জমেছে বিআইটিআইডি হাসপাতালের ল্যাবে। সিভিল সার্জন বলছেন, পরীক্ষায় গতিশীলতা আনতে না পারলে, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকানো কঠিন হবে। আর স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় চারটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারী পর্যায়ের চারটি হাসপাতালের ল্যাবকে স্বল্প খরচের শর্তে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পিসিআর মেশিন আনা হলেও তা ইনস্টল করা হয়নি এখনো।
ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির ল্যাবটি প্রস্তুত থাকলেও তা পরীক্ষামুলক পর্যায়ে রয়েছে। তাই তিন পার্বত্য জেলাসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১০টি জেলার করোনা আক্রান্ত রোগীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য একমাত্র ভরসা এই বিআইটিআইডি হাসপাতালের ল্যাবটি। দৈনিক তিন শতাধিক নমুনা জমা হলেও বিআইটিআইডির পরীক্ষার সক্ষমতা রয়েছে ১৮০টি। তাই প্রতিদিন একশোটির বেশি নমুনা পড়ে থাকছে এখানে। ১৯ এপ্রিল সংগ্রহ করা নমুনার পরীক্ষা হয়েছে ২৬ এপ্রিল। রিপোর্ট পেতে সময় লাগবে আরো একদিন।
এই দীর্ঘ সময়ে রোগ সম্পর্কে জানার সুযোগ থাকছে না। তাই এই সময় আন্তর্জাতিক গাইডলাইন ধরে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে চিকিৎসকদের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। পরীক্ষার পরিমাণ বাড়াতে চট্টগ্রামের তিনটি ছাড়াও কুমিল্লার একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে চারটি বেসরকারী হাসপাতালকেও করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলেও জানান স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক।