নিউজ ডেস্কঃ
দেশে বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস যখন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে ঠিক তখনই কিছু মানুষ কারোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় হাসপাতালের কর্মীদের ফাকি দিয়ে ঢাকা থেকে পালিয়ে গেল বাগেরহাটে। ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর বাগেরহাটে পালিয়ে এসেছে। আজ বুধবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জেলার সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামে তার সন্ধান পায় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় সেখানকার দুটি বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
করোনা আক্রান্ত কিশোরকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওই কিশোরের পরিবারের ১৪ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ূন কবির জানান, ১৩ এপ্রিল বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড় বাঁশবাড়িয়া গ্রামের এক ব্যক্তি তার ১৩ বছর বয়সী ছেলেকে হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ছয়দিন পর (১৯ এপ্রিল) ওই কিশোরের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠায়।
আইইডিসিআরের রিপোর্ট আসার আগেই গত (২৬ এপ্রিল) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েছেন ওই কিশোরকে নিয়ে তার পরিবার পালিয়ে বাগেরহাটে চলে আসেন। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) আইইডিসিআরের পরীক্ষায় ওই কিশোরের করোনা পজিটিভ ধরা পরে। করোনা পজিটিভের বিষয়টি হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে ফোন করে ওই কিশোরের বাবাকে জানালে তারা কোথায় আছেন তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে আমাদের জানানো হলে আজ বুধবার সকালে প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের সন্ধান পাওয়া যায়।
সেখানে গিয়ে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কিশোরের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। কিশোরটি সুস্থ স্বাভাবিক রয়েছে। তার চিকিৎসা বাড়ি রেখেই দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, কিশোরের সংস্পর্শে আসা নারী-পুরুষ মিলিয়ে ১৪ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনার ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। আশপাশে আর কোনো বাড়ি না থাকায় দুটি বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা উড়িয়ে দেয়া হয়েছে।