নিউজ ডেস্কঃ
প্রেমিকের দেয়া মোবাইল ফোন নিয়েছে মেয়ে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গলায় থাকা ওড়না দিয়ে ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে হত্যা করেছে তাঁর মা। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘাতক মাকে আটক করে থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। গতকাল রবিবার গভীর রাতে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিনোদনগর ইউনিয়নের বড় মাগুড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।মেয়েটির মা মোছা. রহিমা বেগম (৪৩) উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের বড় মাগুড়া গ্রামের মোহাম্মদ বুলু মিয়ার স্ত্রী।
নিহত মোছা. ফাতেমা (১৩) ওই এলাকার বিনোদনগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির পড়ুয়া ছাত্রী।নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অশোক কুমার চৌহান আজ সোমবার ১৫ জুন দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণমাধ্যমে।স্থানীয় বিনোদনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন জানান, গতকাল রবিবার সকালে বাড়ির পাশে আমগাছ থেকে আম নামানোর সময় মেয়ে ফাতেমার কোমরে একটি মোবাইল দেখতে পায় তাঁর মা রহিমা বেগম। পরে মেয়েকে মোবাইলের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়ে ফাতেমা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি বলে জানা যায়।
চেয়ারম্যান বলেন, ঘটনার পর রহিমা বেগম ফোনটি নিয়ে ঘরের শোকেসে তালাবদ্ধ করে পাশের গ্রামে বড় মেয়ের বাড়িতে চলে যান। এরপর বিকেলে মেয়ের বাড়ি থেকে ফিরে শোকেসের তালা ভাঙা দেখে মেয়ে ফাতেমাকে আবারও জিজ্ঞেস করলে সে কোনো উত্তর দেয়নি। এরপর মা-মেয়ের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেয়ের গলায় থাকা ওড়না ধরে টান দেন মা। এতে সেখানেই মেয়ে ফাতেমার মৃত্যু হয়।নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অশোক কুমার চৌহান বলেন,
এলাকাবাসীর দেয়া খবরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাত ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার এবং তাঁর মা রহিমা বেগমকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজ মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।ওসি আরো জানান, রাতেই মেয়ের চাচা মো. আলম হোসেন বাদী হয়ে মা রহিমা বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মেয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামী রহিমা বেগমকে দিনাজপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।