
কর্মবিরতির কারনে সকল পরিবহন বন্ধ রেখেছে পরিবহন শ্রমিকেরা, ছবিটি বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে তোলা। ছবি: সৈয়দ মুহাম্মদ বাহাউদ্দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক। অজানা বাংলাদেশ
আল ওমায়ের
সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা পরিবর্তনের দাবিতে রোববার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ‘কর্মবিরতি’তে দেশজুড়ে স্থবিরতা বিরাজ করছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার আরো ১৯টি রোডে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা। এছাড়া খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও রংপুরে একই কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকেরা। পরিবহন শ্রমিকরা যেমন যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন, তেমনি চলছে না পণ্যবাহী কোনো পরিবহনও। রাজধানীর সড়ক, আঞ্চলিক সড়ক থেকে শুরু করে মহাসড়কেও বিরাজ করছে যানবাহনশূন্যতা।
এই নিয়ে আঞ্চলিক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ মুছার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অজানা বাংলাদেশ কে বলেন ২০১৮ সালে করা সড়ক পরিবহন আইনে কয়েকটি ধারা এখানে আমাদের শ্রমিকদের অপরাধীর ধারায় মুল্যায়ন করা হচ্ছে এইসব ধারাগুলোর সংশোধন করার জন্য আমাদের এই কর্মবিরতি। তিনি আরো বলেছেন আমি একজন পেশাজীবী, আমি একজন শ্রমিক ও দিন মজুর, আমি দৈনিক ভিত্তিতে গাড়ি চালায়, আমি পেশাদার রাস্তায় গাড়ি চালায় অনেক ঝুকি নিয়ে, আমার অজান্তে পথচারী হতে পারে অথবা যাত্রী হতে পারে বা ঐখানে আমারো দোষ থাকতে পারে আমি একেবারে নির্দোষ বলবোনা, তাহলে আমার জন্য যে আইন আছে সেই আইনের ধারায় আমার বিচার হবে। কিন্ত এই ধারা পরিবর্তন করে আমাকে অপরাধীর ধারায় নিয়ে গিয়ে একজন ক্রিমিনাল হিসেবে ৩০২ ধারায় ফাঁসি দেয়া হবে এইটাতো কোনো সভ্য দেশের আইন হতে পারে না, এই আইনটির বিরুদ্ধে আমাদের বক্তব্য আছে, এবং আমি অপরাধী, আমার অপরাধ থাকলে আমি কোর্টে হাজির হবো মাননীয় আদালত আমার বিচার করবেন, এর পরে আমি যদি দোষী হয় আমার শাস্তি হবে আমার কোনো আপত্তি নাই। এই সময় পরবর্তী কর্মসূচি কি তা জানতে চাইলে তিনি বলেন পরবর্তী কর্মসূচি তা আপনাদের কেন্দ্র থেকে জানানো হবে।