মাহমুদুল হাসান
আমাদের বাংলাদেশ দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে শিক্ষা,আবাসন,প্রবৃদ্দি ইত্যাদি দিক দিয়ে।এর জন্য প্রসংসার দাবীদার নারীরা।নারীরা এগিয়েছে বলেই দেশও এগোচ্ছে।
আমাকে একটা শিক্ষিত মা দাও আমি একটা শিক্ষিত জাতি দেবো।নারী শিক্ষার এক বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে বাংলাদেশে। শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে বাংলাদেশ ছুঁয়েছে নতুন মাইলফলক। স্বাধীনতার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গেলেও শিক্ষার অগ্রগতিতে গত এক দশকই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।
এর আগে কোনো সরকার বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিক ইতিহাসে নারীর ক্ষমতায়নে এবং নারীর মূল্যায়নে এমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। বাংলাদেশের শিক্ষা বিষয়ক পরিসংখ্যান ব্যুরো, ব্যানবেইসের হিসেবে ২০১২ সালে প্রাথমিক পর্যায়ে মোট শিক্ষার্থীর প্রায় ৫১ শতাংশই ছিল মেয়েশিশু। প্রায় শতভাগ মেয়েই এখন স্কুলে যাচ্ছে। মেয়েদের জন্য বিদ্যালয়ে যে পরিবেশ করা দরকার, সেগুলো করছেন বর্তমান সরকার ।
প্রাথমিক পর্যায়ে সবার জন্য বৃত্তি না থাকলেও, মাধ্যমিক পর্যায়ে শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য বৃত্তি রাখা হয়েছে। এ বিষয়গুলো কাজে দিয়েছে সরকারের নারী শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প।
আগের যুগে নারী শিক্ষা শুধু উচ্চবিত্ত ও শহরের কিছু পরিবারে সীমাবদ্ধ ছিল। সেই ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে। ।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল এবং ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সময় অব্দি শেখ হাসিনার সরকার নারীদের শিক্ষামুখী করার লক্ষ্যে যুগান্তকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় দেশে ক্রমেই নারী শিক্ষার হার বাড়ছে।সরকার প্রত্যেকটি গ্রামেগঞ্জে স্থাপন করেছেন নতুন স্কুল , উন্নয়ন প্রতিটি প্রাইমারী এবং হাইস্কুলে। নিশ্চিত করেছেন প্রত্যেক ঘরের মেয়েরা যাতে সঠিক শিক্ষা পান। মূলত: সরকারের লক্ষ্য ছিল প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রত্যেকটি মেয়েই যেন শিক্ষাগ্রহণ করে , এর জন্য পার হতে হয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। তাও হার না মানা মানসিকতার জন্যই আজ বাংলাদেশে নারী শিক্ষার যে অবদান তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পাচ্ছে।
নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্যই এখন দেশের প্রতিটি খাতের উন্নয়নে সমান ভূমিকা রাখছেন নারীরা।এছাড়াও নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশের ছয় মহীয়সী নারীর নামে যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোকে নারী শিক্ষার আদর্শ প্রতিষ্ঠানরূপে গড়ে তোলা হবে। মাধ্যমিক থেকে কলেজ পর্যায়ের ছাত্রীদের সুস্থ শরীর, মনের বিকাশ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সুষ্ঠু গঠন নিশ্চিত করা হবে।
সরকারের উদ্যোগ বর্তমানে নারী শিক্ষার হার যেভাবে বাড়ছে এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেই পুরুষের পাশাপাশি নারীরা একইভাবে শিক্ষিত হয়ে পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির বৃহত্তর উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।সোনর বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হয়তো আর বেশি দূর যেতে হবে না।নারী শিক্ষাই হাতিয়ার হয়ে থাকবে।