আরিফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী
জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের যুব বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইঁয়াকে নির্বাচনী মাঠে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন তার শ্বশুর জাতীয়পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও এই আসনের বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
সোমবার (২৬ নভেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ গ্রামে নিজ বাড়িতে দলের অন্তত পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এক প্রতিবাদ সভায় সাংসদ জিয়াউল হক মৃধা তার মেয়ের জামাতা রেজাউল ইসলাম ভূইঁয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নির্বাচনী মাঠে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
এসময় এমপি জিয়াউল হক বলেন, রেজাউল ইসলাম আমার মেয়ের জামাই। এই আসনে আমি মহাজোটের টানা দুইবারের নির্বাচিত এমপি। একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র চালিয়ে বিশেষ করে এখানকার জাতীয়পার্টিকে ধ্বংস করতে এই আসনে আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে জামাতা রেজাউল ইসলামকে দাঁড় করিয়েছে। এখানে শ্বশুর ও জামাই’য়ের মধ্যে দ্বন্দের সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে সেই অসাধু মহলটি। আমি বিশ্বাস করি জামাই রেজাউল ইসলামের সুমতি হবে, সে এই ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে তার প্রার্থীতা তুলে নিবে। নইলে এখানকার আপামর জনতা তাকে (জামাতা রেজাউল) নির্বাচনী মাঠে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।
এসময় উপস্থিত শত শত নেতাকর্মী রেজাউল ইসলামের কঠোর সমালোচনা করেন এবং তার বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেন। এখানকার নির্বাচনী মাঠে রেজাউল ইসলামকে ঢুকতেই দেয়া হবে না, এমন সিদ্ধান্তও নিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
সভায় এ নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি দেন সাংসদ জিয়াউল হক।
তিনি আজ মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি দেন। জিয়াউল হক মৃধা বলেন, এ মানববন্ধন থেকেই দুইদিনের আলটিমেটাম দেওয়া হবে। রেজাউল ইসলাম যদি এখানে দলীয় প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে, তাহলে পরবর্তীতে তার (রেজাউল) বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের আসন বন্টন নিয়ে নানা আলোচনার পর শরিকদল জাতীয়পার্টিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি আবারো ছেড়ে দেন। জেলায় জাতীয়পার্টি পেয়েছে একটিমাত্র আসন। নিজের কাঙ্ক্ষিত আসন না পেয়ে জামাই (রেজাউল) তাঁর শ্বশুরের (জিয়াউল) দখলে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটিতে মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন দলীয়ভাবে নানা কূটকৌশলের মাধ্যমে। এ নিয়ে শ্বশুর ও জামাই’র মধ্যে তীব্র বিরোধের সৃষ্টি হয়।