আরিফুল ইসলাম সুমন, স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ।।
অবশেষে সোমবার দুপুরেরদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তলব করে দলের মহাসচিব ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে “ধানের শীষ” প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন তুলে দেন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার হাতে। এতে ইতিমধ্যে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে চূড়ান্ত তালিকায় এগিয়ে থাকা টেলিভিশন টক-শো’র বিশিষ্ট সুবক্তা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তজাতিক বিষক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বাদ পড়েন।
এদিকে সরাইল উপজেলার কৃতিসন্তান, প্রবীণ বর্ষীয়ান নেতা, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, এ আসনের পাঁচবারের নির্বাচিত এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইঁয়াকে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় এখানকার তৃণমূলের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি এখানে ‘ধানের শীষ’কে বিজয়ী করে এই আসনটি বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার খবরে গত এক সপ্তাহ যাবত সরাইল উপজেলা বিএনপির বেশিরভাগ অংশের ত্যাগী নেতাকর্মীরা চরম আপত্তি তোলেন। এমনকি নির্বাচনী মাঠে রুমিন ফারহানাকে প্রতিহতের ঘোষণা দেন সরাইল উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন মাস্টার।
তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, রুমিন ফারহানা এই নির্বাচনী এলাকার ভোটার নন। তিনি কখনো এখানে আসেননি, তৃণমূল নেতৃবৃন্দ তাকে ভালোভাবে চিনেন না, এইরকম প্রার্থী এখান থেকে এমপি নির্বাচন করবেন, তা কেউ মেনে নেননি।
তাকে এখানে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি আমলে নেন।