রোজিনা জান্নাত, সরাইল প্রতিনিধি ॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর বাজার এলাকায় ‘জাফর নদীর’ উপর নির্মিত প্রায় ৯০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁশের সাঁকো চার ইউনিয়নের হাজারো মানুষের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছর বছর সকল কিছুর বদল হলেও এখানে এই নদীর উপর আর সেতু নির্মাণ হয় না। ফলে এলাকার স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী সহ নানা পেশার মানুষের দুঃখও ঘোচেনা।
সরেজমিন দেখা যায়, পানিশ্বর বাজারের সিএনজি অটোরিকশা ষ্ট্যান্ড এলাকায় মেঘনা নদীর শাখা জাফর নদীর উপর রয়েছে প্রায় ৯০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সুমন মুন্সি
বলেন, অধিক জনগুরুত্বপূর্ণ এ সাঁকো দিয়ে নানা কাজে পারাপার হয় উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের দেওবাড়িয়া, নইলা, শাখাইতি, শোলাবাড়ি, পানিশ্বর, বিটঘর, টিঘর সহ এগারো গ্রামের মানুষ। এছাড়াও পাশ্ববর্তী চুন্টা ইউনিয়নের তারাখলা, নতুনহাটি, বড়বল্লা সহ ছয় গ্রাম ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কাবিতারা গ্রাম এবং আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
স্থানীয় লোকজন জানান, এখানে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম সড়ক দুইভাগ করে রেখেছে এ জাফর নদী। সেতু না থাকায় সড়কে শুধুমাত্র মানুষ চলাচলের সুবিধার্থে এ নদীর উপর বাঁশের সাঁকো
নির্মাণ করে স্থানীয় কয়েকজন। তারা এ সাঁকো পারাপারে জনপ্রতি দুই টাকা করে নেন। এ অবস্থা চলে আসছে দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর যাবত।
পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দ্বীন ইসলাম বলেন, এই জাফর নদীর উপর একটি সেতুর জন্য পানিশ্বর সহ পাশ্ববর্তী চার ইউনিয়নের হাজারো মানুষের দুঃখের শেষ নেই। এখানে একটি সেতু নির্মাণ হলে এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য আরো উন্নত হতো। বর্তমানে এখানে একটি দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো আছে। এতে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হয়।
ইতিপূর্বে এ সাঁকো পার হতে গিয়ে দূর্ঘটনায় এলাকার অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও শিশু-কিশোরদের এ সাঁকো পারাপারে বেশি ঝুঁকি থাকে। এখানে একটি সেতু নির্মাণে আমরা ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। আশা করি এ নদীর উপর সেতু নির্মাণে সরকার সহযোগিতা করবেন।