
আগরতলার সপ্তপর্ণা ও চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ কর্মসুচীর আলোকে ও ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস স্মরণে এক স্মারক আলোচনা, কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে ২য় পর্যায়ের বঙ্গবন্ধু মেধাবৃত্তি প্রদান, সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গত ১৮ এপ্রিল বিকেল ৫টায় আগরতলা প্রেসক্লাবের ভুমিতলে আগরতলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শ্রীমতি নিভা দেববর্মনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, অগ্রণী
ব্যাংকের সাবেক পরিচালক শাহজাদা মহিউদ্দীন। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বিশিষ্ট সাহিত্যিক বজ্রগোপাল রায়। আলোকিত অতিথি ছিলেন আগরতলার বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সাহিত্যিক শ্রী অজিত কুমার পাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আগরতলাস্থ সপ্তপর্ণার সম্পাদক সাহিত্যিক নিয়তি রায় বর্মন, স্মারক বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষ্ঠানের সাবেক প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দীন, বিশেষ অতিথি ছিলেন সাতকানিয়ার পৌর মেয়র কবি ও সাহিত্যিক মোঃ জোবায়ের, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি লায়ন এম
জাফর উল্লাহ এমজেএফ,রাজনীতিবিদ খোকন চৌধুরী, লেখক এম,এ,সবুর, চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের সভাপতি বাবুল কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসিফ ইকবাল মুক্তিযোদ্ধা এস.এম. লিয়াকত হোসেন, সমাজসেবী সাজেদা বেগম, ফাতেমা জাফর, সুমন চৌধুরী, সুমী দেবী, কবি রহিমা আকতার ডলি, আগরতলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. বিথীকা চৌধুরী, এড রাখাল মজুমদার। শিক্ষাবিদ ড. মুজাহিদ রহমান ও আবৃত্তিশিল্পী সুস্মিতা চৌধুরীর পরিচালনায় দুদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন সি তা রাহা, সোনালী রাহা, সুমি দে সহ আরো অনেক। একক সংগীত
পরিবেশন করেন স্বপ্না ভট্টাচার্যী, শিউলী, কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন আগরতলার কবি চন্দ্রিকা দেব চৌধুরী, অমিত কুমার নাথ, মৌমিতা কর,মঞ্জিলা ঘোষ,গার্কিক ভট্টাচার্যী,রতন আচার্য,প্রণতি দাশ,চট্টগ্রামের সৈয়দা শাহানা আরা বেগম। বংশীবাধক পরিবেশন করেন আগরতলার কবি স্বপন মজুমদার। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন আগরতলার ড.বি.আর.আহমদের স্কুলের ছাত্রীরা, উপজাতী নৃত্য পরিবেশন করেন ত্রিপুরা অনুরুপা একাডেমীর ছাত্রীরা। সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের জাতির জনক হিসেবে বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের একজন
কালজয়ী নেতা হিসেবে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে সমাদৃত।আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক দেশপ্রেমের চেতনা বিশ্ব দরবারে নতুন প্রজন্মের ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তিসহ, বঙ্গবন্ধুর জীবনীগ্রন্থ বিতরণসহ নানান সেবা ও গবেষণামুলক কাজ উপহার দিতে হবে আমাদেরকে। তিনি বলেন আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে। আর বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানকে আরো মহিমান্বিত করতে চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্র ও আগরতলার সপ্তপর্ণা যৌথ উদ্যোগে ২য় পর্যায়ে আগরতলার কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে
বঙ্গবন্ধু মেধা শিক্ষাবৃত্তির উদ্যোগ নিয়ে একটি গৌরবজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যা আমাদের সকলের জন্য অনুকরণীয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। আর এ লক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তা এখন বিশ্বব দরবারে অনুকরণীয় মডেলযোগ্য। সভার উদ্ভোধক আগরতলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড.বজ্রগোপাল রায় বলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর
জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামে ভারতের আগরতলায় একশত জন মেধাবী,গরীব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে ” চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্র “। যাকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসে আগরতলার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ” সপ্তপর্ণা, বাংলাদেশের জাতির পিতা’র আদর্শ অনুশীলন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হবে মুক্তবুদ্ধির চেতনায় ভাস্বর, দেশপ্রেমে প্রাণিত, সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার প্রেরণা, মানবিকতায় বলীয়ান হয়ে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ হওয়ার আহবান জানান। এটি একটি অভিনব এবং শিক্ষনীয় মহৎ উদ্যোগ। এর সাথে যারা
সংশ্লিষ্ট তারা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য- বলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক ব্রজগোপাল রায়। সভাশেষে আগরতলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩২ জন শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু মেধাবৃত্তির সনদ, বঙ্গবন্ধুর জীবনী গ্রন্থ, খাতা ও কলম বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।