
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ৬ দফা দিবসের আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ ৬ দফার মধ্যেই বাঙালি জাতির মুক্তি নিহিত ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এম.পি বলেছেন, ৬ দফা ঘোষণার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার সূর্যোদয় হয়েছিল এ ৬ দফাকে এক দফায় পরিণত করেছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা এম.এ. আজিজ। এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন আমাদের মুক্তিপাগল বাঙালি। আজ ঐতিহাসিক ৭ জুন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, ৬ দফার মধ্যেই বাঙালি জাতির
মুক্তি নিহিত ছিল। বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার ৬ দফা একটি জাতীয় দাবীতে পরিণত হয়েছিল। এর ভিত্তিতেই ধাপে ধাপে ১৯৬৯ এর গণঅভূত্থান এবং ৭০ এর নির্বাচনে ৬ দফার পক্ষে জনগণ মেন্ডেড দিয়েছিল। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী সেদিন এই গণরায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাঙালি নিধনে একটি গণহত্যার পরিকল্পনা করে। তিনি বলেন, আমরা গণরায়ের যে কোন কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাই না, তবে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে কোন কথা হলে তাকে কোন অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক
সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এম.পি বলেছেন, সেদিন যারা ৬ দফায় বিশ্বাস করেনি তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেও বিশ্বাস করেনি। তারপরও বলব বঙ্গবন্ধু ঐক্যের রাজনীতি করেছিলেন এবং সেই লক্ষ্যে জনগণকে সংগঠিত করে একটি জাতীয় জাগরণ সৃষ্টি করে ৭ মার্চের ভাষণে জাতিকে মুক্তির সংগ্রামের দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। তাঁর আরেকটি কথা ছিল এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। ৬ দফাই ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। এই মুক্তির লক্ষ্যে বাঙালি জাতি জীবন দিয়ে
বাংলাদেশের পরিপূর্ণ স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়েছিল। এই লক্ষ্যের প্রধান দিক অর্থনৈতিক মুক্তি। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমরা একটি সংগঠিত শক্তি হিসেবে রাজনৈতিক মুক্তি পেলেও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হয়নি। এই মুক্তির জন্য প্রথমত দলীয় ঐক্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন এ দাবীর পক্ষে যাঁরা শাহাদাৎ বরণ করেছেন তাঁদের প্রতি বিনীত শ্রদ্ধা জানাই। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরী এম.পি বলেছেন, সফলতা নির্ভর করে আমাদের নেত্রী’র নির্বাচনী
ইশতেহারের উপর। নেত্রী’র বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বৃহৎ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনগণকে কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে এবং অসুবিধাগুলোকে সাময়িকভাবে আমাদেরকে মেনে নিতে হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আমাদের সরকারের সকল অর্জনগুলো যাতে ব্যর্থ না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। আমাদের নিজেদের মধ্যে ভিন্ন মত থাকতে পারে কিন্তু সাংগঠনিকভাবে আমরা অভিন্ন একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী শক্তি। আমাদের পূর্বসূরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর
উত্তরাধিকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় থাকি বা না থাকি রাজপথে থাকব। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ৬ দফা বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শোষিত, বি ত গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামকে তরান্বিত করতে তিনি রাজনৈতিকভাবে দলকে প্রস্তুত করেছিলেন। এ দল স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক মুক্তির সনদ। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের স ালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা মহিউদ্দিন। সভার শুরুতে ৬ দফার আন্দোলনে নিবেদিত সৈনিক মনু মিয়া, শফিক সহ অসংখ্য শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. সুনীল কুমার সরকার, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল
কালাম আজাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, মাহবুবুল হক মিয়া, দিদারুল আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব আবু জাফর, এড. মুজিবুল হক, বোরহান উদ্দিন ইমরান, মহানগর আওয়ামী লীগের শহিদুল আলম, জহরলাল হাজারী, দক্ষিণ জেলার নাছির আহমেদ, মাহবুবুর রহমান শিবলী, সৈয়দ জামাল আহমদ প্রমুখ।