
নিউজ ডেস্ক
গেল কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেড়ে চলেছিল কবে যেন শেষ তাপমাত্রা নয় এখন পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কুয়েত সিটি: ৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ফুটছে কুয়েত। অবাক হচ্ছেন! হ্যাঁ, অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা। ঘটছে দিনের বেলায় কুয়েতে তাপমাত্রা থাকছে ৬৩ থেকে ৬৪ ডিগ্রির কাছাকাছি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নাকি এটাই। একদিকে চড়চড় করে বাড়ছে তাপমাত্রা অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে চলছে তাপপ্রবাহ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চলছে তাপপ্রবাহ। বিশেষ দরকার ছাড়া দিনের বেলাতে রাস্তায় বেরনো কার্যত বন্ধই
করে দিয়েছেন সেখানকার মানুষ।ইতিমধ্যে প্রবল এই দাবদাহে এখনও পর্যন্ত ১২জনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, সবারই হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কা এমন যদি আরও কয়েকদিন চলতে থাকে তাহলে আরও মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদরা।কুয়েতের একটি খবর গলফ নিউজ জানাচ্ছে, দিনের বেলাতে কুয়েতে তাপমাত্রা থাকছে ৬৩ থেকে ৬৪ ডিগ্রির কাছাকাছি। তবে একটু রোদ কমলে তা কিছুটা নেমে যাচ্ছে। তবে মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়। বিকেলের দিকে সেখানকার তাপমাত্রা থাকছে ৫২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। যা মোটেই
সুখবর নয়। সৌদি আরবের আল-মাজমা শহরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আশঙ্কা করা হচ্ছে, কুয়েত আর সৌদি আরবের এই অসহনীয় তীব্র দাবদাহের হাত থেকে শিগগিরই মুক্তির উপায় নেই। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এবার কুয়েতের গ্রীষ্মকাল বেশ দীর্ঘ হতে চলেছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে সে দেশের তাপমাত্রা ৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফলে সেই সময়ে কি অবস্থা হতে পারে তা এখন থেকেই ভয়ে মানুষজন। সৌদি আরবের সরকারি আবহাওয়া ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, কাতার, বেহরিন ও সংযুক্ত আরব
আমিরাতেও আঘাত হানবে প্রবল এই দাবদাহ। ইরাকের মেসান প্রদেশে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হযেছে ৫৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তথ্যমতে, বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডটি ছিল আমেরিকায়। দেশের ডেথ ভ্যালির সেই তাপমাত্রা ছিল ৫৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯১৩ সালের ১০ জুলাই কার্যত এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তারও ৯০ বছর পর, ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার এল আজিজিয়াতে ৫৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার দাবি করা হলেও, তা নাকচ করে দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা। কিন্তু কুয়েতের এই ৬৩ ডিগ্রি
সেলসিয়াস তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, জুলাইতে যদি সে দেশের তাপমাত্রা ৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছাড়িয়ে তাহলে সমস্ত রেকর্ডকে ভেঙে তছনছ করে দেবে। কুয়েত এই তাপমাত্রা বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে গোটা বিশ্বে দ্রুত বদলাচ্ছে পরিস্থিতি। ক্রমশ উষ্ণতা বাড়ছে। আগে যে সমস্ত জায়গাকে ঠান্ডার দেশ হিসাবে দেখা হতো সেখানেও মানুষজন প্রবল গরমে পুড়ছে। অন্যদিকে, এই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্যে দ্রুত হারে ফল গলতে শুরু হয়েছে বিশ্বে। গবেষকদের আশঙ্কা, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সমুদ্রের জলস্তর কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। হারিয়ে
যেতে পারে বহু দেশও। আর এর জন্যে দায়ী একমাত্র দূষণ আর লাগাতার গাছ কাটা, এমনটাই মত বিজ্ঞানীদের। তাঁদের মতে, এই বিষয়ে এখন থেকে না সচেতন হলে আগামীদিন আরও ভয়াবহ আসতে চলেছে। দূষণের মাত্রা না কমালে তীব্র দাবদাহে পুড়বে গোটা বিশ্ব। আর সেজন্যে সমস্ত দেশকে একজোট হওয়ার আহ্বান বিজ্ঞানীদের।বিজ্ঞানীরা আরো বলেন পৃথিবীতে যেসব দেশে গাছ গাছালির সংখ্যা বেশি সে দেশ গুলোতে এমন তাপমাত্রা হয় না তাই বিজ্ঞানীদের আহ্বান যেভাবে হোক গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে এবং তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা