কলকাতাসহ কালের খবর আয়োজিত বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য ও শিল্প সংস্কৃতি উৎসব গত ৩০ নভেম্বর শান্তিনিকেতনের টাউন ক্লাব মিলনায়তনে সম্পাদক অভিজিৎ গুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী, গৌরী মিত্র, পৃথীরাজ সেন, কবি সঞ্জীব কুমার রাহা, শিক্ষাবিদ বাবুল কান্তি দাশ, কবি আসিফ ইকবাল, পরিব্রাজক গৌতম বিশ্বাস, সব্যসাচী লেখক সুব্রত হালদার, উজ্জ্বল মুখার্জী, প্রত্যুষ কুমার পাল। দীপেন ভাঁদুড়ী, কেতকী প্রসাদ রায় ও রুম্পা দের যৌথ পরিচালনায় এতে আলোচনা, স্বরচিত কবিতা পাঠ, গান, অনুগল্প, আবৃত্তি, শ্রুতি নাটক, ও নৃত্যে অংশনেন গোলাম মুত্তাজা, সুবোধ কুমার দাশ, ভক্তগোপাল ভট্টাচার্য, ডাঃ ভাস্কর উকিল, অনিমেষ চন্দ্র, কল্যাণী চক্রবর্তী, ডাঃ অমল কৃ
গোস্বামী, বসন্ত মুখার্জী, অরুণ কুমার ভট্টাচার্য, মনীষ রঞ্জণ চক্রবর্তী, অরুণ কুমার মন্ডল, অভিতাভ নন্দী মজুমদার, সুবোধ কুমার মল্লিক, বিপুল সরকার, বিজয় সরকার, জীবন কুমার চক্রবর্তী, প্রভাষ মজুমদার, ঋক রায়, গালিব ইসলাম, টমচাচু, শ্বাশতী চ্যাটার্জী, সুচরিতা চক্রবর্তী, সম্পদ মাইতি, কা ন কুমার চট্টোপাধ্যায়, রতন দাশ, আসিফ ইকবাল, সিগ্না মিত্র মুখার্জী, রতন মন্ডল, সঞ্জয় কর্মকার, রতন মন্ডল, দিলীপ কুমার মজুমদার, রাজীব দাস, ধীমান দাস, মৃদুল চন্দ্র রায়, জ্যোতিব্রত চক্রবর্তী, পৃথা চ্যাটার্জী, বিমল মন্ডল, অশোক কুমার লাটুয়া, স্মৃতি পাল, সজল বসু রায়, স্নিগা সাহা, সৌমিত্র পাল, ডালিয়া হালদার, দেবলীনা চক্রবর্তী, রাজকুমার সরকার, গীতালী বর্মণ, দেবলীনা চক্রবর্তী, বনমালী নন্দী, বর্ণালী রাহা, বনমালী নন্দী, রতন রায়, পীযুষ রায় চৌধুরী,
শেখ জামাল উদ্দিন, লক্ষী কান্তি ধর, সৌমিলী রাহা, জুয়েল শেখ, নির্মালা ব্যানার্জী, যোগেন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ন চন্দ্র ঘোষ, জয়চাঁদ পোদ্দার, দীপালী শ্রীবাস্তব, বুলবুল গাঙ্গুলী, মধুমিতা মন্ডল, প্রভাত গাঙ্গুলী, পিয়ালী পাল গুহ, সুখেন্দু বিশ্বাস, শ্যামল কুমার দাশ, মালবিকা সাহা প্রমুখ। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক মিলনোৎসব হয়ে গেল রবিতীর্থ শান্তিনিকেতনে। এপার বাংলা ওপার বাংলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের কবি সাহিত্যিকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে রবিতীর্থ শান্তিনিকেতন। প্রাণের ভাষা, মধুর ভাষা বাংলার টানে, বাংলার ভালোবাসায় সে এক অপূর্ব দৃশ্য। গানে, কবিতায়, কথামালায় মুখরিত হয়ে উঠে শান্তিনিকেতন। বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষার প্রসার আর সমৃদ্ধায়নে বাঙ্গালী অবাঙ্গালীদের মিলনে, সৃজনে নবতর
সৃষ্টির উন্মাদনায় মেতে উঠবে বিশ্ব। গাইবে আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। সভায় বক্তারা বলেন বাঙালীর হাজার বছরের সংস্কৃতির শুদ্ধতম চর্চা আর বাংলা ভাষার বিকাশে উভয় বাংলার কবি সাহিত্যিকদের আরো বেশি জোরালো ভুমিকা রাখতে হবে।বক্তারা আরো বলেন বাংলা ভাষা এখন বিশ্বজনীন ভাষা হিসেবে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে সমাদৃত হচ্ছে। বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে জাতি সংঘ অনেকআগেই স্বীকৃতি আদায় করেছে। পৃথিবীতে মাতৃভাষা বাংলার জন্য একমাত্র বাঙালীরায় জীবন বিসর্জন দিয়ে বিশ্ব ইতিহাসে অনন্য নজীর
স্থাপন করেছেন। বক্তারা বলেন মানুষ এখন দিন দিন যন্ত্রময় হয়ে পড়েছে। মানুষ এখন সাহিত্য চর্চার চেয়ে ইমিডিয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন তরুণ যুব সমাজ সাহিত্য ও শিল্প চর্চার চেয়ে কম্পিউটার তথা ইমিডিয়ার প্রতি দিন দিন ঝুঁকে পড়েছে। বক্তারা আগামীদিনের প্রজন্মকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় সৃজনশীল ও মননশীলতার প্রতি আবেদনময়ী হওয়াও জরুরী মনে করেন। সভা শেষে এপার-ওপার বাংলা কবি-সাহিত্যিকদের বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।