আজ শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) বিএনপি নেতা সালাহ্উদ্দিন আহমদ ভারতের শিলং এর আদালতে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থেকে বেখসুর খালাস পেয়েছেন।
দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি পেয়ে পেকুয়া চকরিয়ার মানুষ আনন্দিত হয়েছেন শামসুল আলম নামের এক ব্যক্তি বলেন অনেকদিন পর চকরিয়া-পেকুয়ার সিংহ পুরুষ আবার বাংলাদেশে ফিরে আসছেন এতে আমরা খুবই খুবই খুশি হয়েছি
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চকরিয়া পেকুয়ার মানুষ আজ অনেক খুশি”
সালাহ্উদ্দিন আহমদের ভাতিজা ছফওয়ানুল করিম ফেইসুক স্ট্যাটাসে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। সকলের দোয়ায় চাচা সালাহ্উদ্দিন আহমদ সিলং এর আদালতে মামলা থেকে বেখসুর খালাস পেয়েছেন আজ ২৬ অক্টোবর ২০১৮ইং।
ইনশাআল্লাহ কিছুদিনের মধ্যে তিনি আমাদের মাঝে ফিরবেন।গত ২৫ জুন মামলায় দু’পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। রায়ের জন্যে অপেক্ষায় রাখা হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
পরে তা পিছিয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ওইদিন বিচারক উপস্থিত না হওয়ায় রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে সোমবার (১৫ অক্টোবর) ধার্য করা হয়। ১৫ অক্টোবর রায় হওয়ার কথা থাকলেও সেটা পিছিয়ে ২৬ অক্টোবর করা হয়। সালাহউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এপি মহন্ত।
২০১৫ সালের ১১ মে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলং পুলিশ। প্রায় সাড়ে তিন বছর বিচার চলার পর চলতি বছরের ১৩ আগস্ট এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়।
সিটি থানায় দায়ের করা ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচারক তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। জামিনের প্রধান শর্তই হলো- শিলংয়ের বাইরে যাওয়া চলবে না। আর সে কারণেই সালাউদ্দিন আহমেদ আপাতত সেখানেই একটি গেস্ট হাউস ভাড়া করে আছেন। অসুস্থতার জন্য তার চিকিৎসাও চলছে ওই শহরেই।
বিএনপি-জামায়াত জোটের সময়ে ২০০১-০৬ পর্যন্ত যোগাযোগমন্ত্রী দায়িতবপালন করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ভারতে থাকাকালীন সময়ে সর্বশেষ বিএনপির সম্মেলনে তাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচন করা হয়। এর আগে তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন।
কক্সবাজার পেকুয়া প্রতিনিধি
আলাউদ্দিন