হাসান আহমদ,ছাতক প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জে এইমাত্র আকাশ মেঘলা করে ঝড়ো হাওয়া আর প্রচন্ড শিলাবৃষ্টি শুরু হয়েছে। হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের মানুষদের জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন হলো বোরো জমির ফসল। এখানকার মানুষ বছরের ৬ মাস বোরো জমির চাষাবাদ করে সারাবছরের খোরাক গোলায় তুলে পরিবারের সদস্যদের খাদ্য সংকট মোকাবেলা করেন । আর বছরের
৬মাস অলস সময় পাড় করেন। কিন্তু পাশপাশি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ও জোগান দিতে হয় বোরো জমির ফসল থেকে। কিন্তু চৈত্রমাস আসলে কৃষকরা সব সময় উদ্বগ আর উৎকন্টায় দিন অতিবাহিত করেন। তারমধ্যে অন্যতম হলো প্রাকৃতিক র্দূযোগ ঘূর্নিঝড়,শিলাবৃৃষ্টি ও ফসল রক্ষা বাধঁ নিয়ে । এখনো জেলার বেশীর ভাগ হাওরে বাধঁ নির্মাণের একাধিক
সময় সীমা অতিবাহিত হলেও শতভাগ বাধেঁর কাজ শেষ হয়নি। জেলার সবচেয়ে বেশী বোরো জমি আবাদ হয়ে থাকে শাল্লা উপজেলায়। আজ পর্যন্ত একাধিক স্থানীয় কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায় এখনো এই উপজেলায় একটি সিন্ডিকেটের কারণে হাওরে বাধঁ নির্মাণের তিনটি তারিখ সময়সীমা অতিবাহিত হলেও কাজ এখনো শতভাগ দূরের কথা
৬০ থেকে ৬৫ ভাগ বাধেঁর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকরাী প্র্রকৌশলী ও পিআইসিদের সিন্ডিকেটের কারণে বাধেঁর গোড়া থেকে মাটি নিয়ে বাধেঁ মাটি ফেলা,টেকসই বাধঁ নির্মাণ না হওয়া,এখনই বাধেঁর মাঠি ধসে পড়া নিয়ে চরম আতংঙ্কে কৃষকরা। তারা কি ঠিক সময় একমাত্র জীবন জীবিকার উৎস সোনালী ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারবেন কিনা এ নিয়ে শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন।