অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। রানওয়ের ওপর দিয়ে শুধু পথচারীরা অবাধে চলাচল করছে, বিমান অবতরণের সময় হাত দেখিয়ে থামার সংকেতও দিচ্ছে তারা। বিমান বন্দরের গাইড ওয়ালের বিভিন্ন অংশ ভাঙা। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। অবশ্য ]
নিরাপত্তা সম্পর্কিত সমস্যাগুলো শিগগিরই সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য।কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উন্নীত করণের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের জুলাই মাসে। রানওয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর ২০১৭ সালের শেষ দিক থেকে
এখানে অবতরণ করছে আন্তর্জাতিক রুটের বিমানও। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিদিনই আকাশ পথে কক্সবাজার আসছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।কিন্তু অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। বিভিন্ন অংশে গাইডওয়াল না থাকা ও কিছু অংশ ভাঙা থাকায় রানওয়ে দিয়ে অবাধে পারাপার হচ্ছে
স্থানীয়রা। তারা রানওয়েকে ব্যবহার করছে শর্টকাট পারাপারের পথ হিসেবে। এমনকি ঘোরাঘুরি করতে রানওয়েতেও ঢুকছেন স্থানীয়রা। আর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের চোখের সামনেই হচ্ছে এসব।নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, বিমান বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা।নিরাপত্তা বিশ্লেষক
লে. কর্নেল ফোরকান আহমদ বলেন, চারদিকে ওয়াল নেই। লোকজন আসা-যাওয়া করেন। এগুলো সতর্কতার সঙ্গে চেক করে বন্ধ করতে হবে।সব সমস্যা সমাধানে সিভিল এভিয়েশন পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।প্রতিদিন ঢাকা-কক্সবাজার
আকাশপথে যাতায়াত করছে বিভিন্ন বিমান সংস্থার ৯টি ফ্লাইট। এছাড়াও সপ্তাহে ৩দিন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে যাতায়াত করছে বাংলাদেশ বিমানের ৩টি ফ্লাইট।